বাসন্তী দেবীর হাতেই সেজে ওঠেন দেবী দুর্গা। ৮২ বছর বয়সেও নিজে হাতে প্রতিমা তৈরির কাজ করে চলেছেন ধূপগুড়ি ব্লকের সাকোয়াঝোড়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঠাকুরপাট এলাকার বাসন্তী পাল।শুধু তাই নয়,স্বামীর কাছ থেকে কাজ শিখে আজও প্রতিমা তৈরির কাজ অব্যাহত রেখেছেন,নিজের প্রতিমা তৈরির কারখানাতে সকলকে নেতৃত্ব দিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ করে থাকেন।কিন্তু আক্ষেপ একটাই রাজ্য সরকার ক্লাবগুলিকে অনুদান বাড়ালেও বাড়েনি প্রতিমার দাম।বরাত দিতে আসা পুজো কমিটিগুলিকে দাম বাড়ানোর কথা বলতে গেলেই তারা বিভিন্ন অজুহাত দেন,আবার প্রতি বছর প্রতিমা নিতে গিয়ে অনেকেই পরিচিত হয়ে গিয়েছেন।এই বাসন্তী পালের কারখানা থেকে ডুয়ার্সের বানারহাট সহ বিভিন্ন চা বাগানে প্রতিমা যায়।এবছর তার অন্যথা হয়নি।

এবছরে ৩০ টি প্রতিমার বরাত মিলেছে।দিনভর কাজ করলে প্রায় সপ্তাহখানেকের একটু বেশি সময় লাগে প্রতিমা বানাতে।আর কারখানাতে তার প্রতিমা তৈরিতে সহযোগী থাকলেও প্রতিমার মুখ,চালার কল্কা,হাত নিজের অসাধারণ নিপুন হাতে রুপ দেন বলে দাবি বাসন্তী দেবীর।বর্তমান বাজারে প্রতিমা তৈরিতে যা খরচ তা আসে না।সামান্য কিছু লাভেই এই ব্যবসা চালিয়ে যেতে হচ্ছে।এখানে আবার ডাকের সাজ থেকে শুরু করে সব রকম প্রতিমাই বরাত অনুযায়ী রুপ দেন শিল্পীরা।তবে আগামীতে যদি প্রতিমার দামটা একটু ভালো মেলে তাহলে আগামী প্রজন্ম এই কাজে উৎসাহ পাবে।
তবে বিভিন্ন এলাকায় কুমোরটুলিতে যেখানে দেখা যায় পুরুষরাই দেবী মুর্তি তৈরি এবং সাজানোর কাজ করে থাকেন সেখানে এই বৃদ্ধা অবিরাম এই কাজ করে চলেছেন।