দীর্ঘ ২৯ মাস পর ফের অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিধান মার্কেট ব্যবসায় সমিতির নির্বাচন। আগামী ৭ই জুন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের আদলে। গোটা বিধান মার্কেট এলাকাজুড়ে ইতিমধ্যেই সাজসজ্জার আমেজ, পোস্টার-ব্যানারে ঢেকে গেছে চারপাশ।
জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে মোট দুটি কমিটি, প্রতিটিতে ২১ জন করে প্রার্থী। পাশাপাশি একজন নির্দল প্রার্থীও নাম জমা দিয়েছেন। সবমিলিয়ে ৪৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এই নির্বাচনে। নির্বাচন প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে খুচরা ব্যবসা সমিতি ও অন্যান্য ব্যবসায়িক সংগঠনগুলির তত্ত্বাবধানে ৮ই জুন গণনা অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকেই বেছে নেওয়া হবে প্রথম সারির ২১ জন প্রতিনিধিকে, যাঁরা দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। এবারের নির্বাচনের অন্যতম আকর্ষণ, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী সুব্রত সাহার দলবদল। পূর্ববর্তী কমিটির অংশ থাকলেও, এবারে তিনি অপর পক্ষের সমর্থনে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। স্থানীয়দের মতে, সুব্রতবাবুর জনপ্রিয়তা এবং প্রভাব এই নির্বাচনে একটি বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে। তবে বর্তমান কমিটিও আত্মবিশ্বাসী। কমিটির অন্যতম সদস্য বাপি সাহা জানিয়েছেন, “গত ২৯ মাসে আমরা বিধান মার্কেটের জন্য অনেক কাজ করেছি। মানুষের আশীর্বাদ আমাদের সঙ্গে আছে। এবারও তাঁদের সমর্থন পাব বলেই আশাবাদী।”

ইতিমধ্যেই দুই কমিটির তরফে প্রার্থীতালিকা প্রকাশিত হয়েছে। পোস্টারিং, প্রচার, নির্বাচনী প্রচেষ্টায় তৎপর হয়ে উঠেছে উভয় পক্ষই। ব্যবসায়ীদের মধ্যে নির্বাচন ঘিরে উৎসাহ তুঙ্গে। প্রায় ১,৭০০ জন ব্যবসায়ী এই নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তবে নির্বাচনের চেয়েও বড় প্রত্যাশা—বিধান মার্কেটের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান। অনেক ব্যবসায়ীর দাবি, নতুন কমিটির উচিত স্থায়ী মালিকানার দাবির বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা, অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থার উন্নয়ন, পার্কিং সমস্যা সমাধান ও সার্বিক পরিকাঠামোগত উন্নয়নের দিকে নজর দেওয়া। সব মিলিয়ে, এবারের বিধান মার্কেট ব্যবসায় সমিতির নির্বাচন শুধু নেতৃত্ব নির্বাচন নয়, বরং একটি দিশা নির্ধারণের ভোট বলেই মনে করছেন এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা।