ময়নাগুড়ি ব্লকের সাপটিবাড়ি ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের দোমুখার নদীর পার এলাকার এলাকাবাসীদের দাবি আগামী বিধানসভা ভোটের আগে এই ব্রিজ তৈরি করার আবেদন রাখেন এলাকাবাসীরা। এলাকাবাসীদের থেকে জানা যায় স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসন জেলা প্রশাসক এবং সাংসদ সকলেই এলাকাবাসীদের পাকা ব্রিজের দাবি সম্পর্কে অবগত। অথচ হেলদোল নেই কারো। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান দোমুখার নদীর পাড়ে নড়েবড়ে জরাজীর্ণ সাঁকো দিয়ে প্রায় তিন থেকে চার হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত যাতায়াত করেন যার জন্য বাসের সাঁকো দিয়ে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা হতে পারে।

অধিক বৃষ্টি হলে সাঁকো ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা। সেই সঙ্গে নদীর অপর প্রান্তে রানীর হাট বাণিজ্য কেন্দ্র যেখানে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষি জাতীয় পণ্য নিয়ে যেতে হয় প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে ফলে সমস্যায় পড়েছেন সকলেই। বর্ষাকালে প্রতিবছরই এই নড়বড়ে বাশের সাঁকো জলের তরে ভেসে যায় ফলে বর্ষার সময় থার্মোকলের তৈরি নৌকায় পারাপার হতে হয় ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।
এ বিষয়ে ওই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য জানান বিষয়টি আমি এর আগে অনেকবার উদ্বোধন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, আমি আবারও জানাবো,
তবে সাপটিবাড়ি ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান চন্দনা রায় এই বিষয়ে কিছু বলতে নারাজ। সেই সঙ্গে ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতো নারাজ।
যদিও ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুমুদ রঞ্জন রায় জানান সাপটিবাড়ি দুই এবং রানীর হাটের সংযোগস্থলে এই সাঁকোটি পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে করে দেওয়া সম্ভব নয়। যদি আমাদের কাছে এ বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ আসে তাহলে আমরা উদ্বোধন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।
এ বিষয়ে ব্লক সমষ্টি উন্নয়নে অধিকারী আমাদের টেলিফোনে জানান এটা নিয়ে আমাদের কাছে আবেদন জানান গ্রামবাসীরা আমরা এই বিষয় নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।