স্থলপথে বাণিজ্যে বাংলাদেশের বিশেষ কিছু পণ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি ভারত সরকারের। শনিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, বাংলাদেশি পোশাক, খাবার-সহ একগুচ্ছ জিনিস আর স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করবে না। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের জেরে বড়সড় ধাক্কা খাবে ভারতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, বাংলাদেশের ৯৩ শতাংশ পণ্য স্থলবন্দর দিয়েই প্রবেশ করে ভারতে। যদিও সমুদ্র বন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানিতে কোনও বাধা নেই বলে জানা যাচ্ছে।
শনিবার কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের অধীনে থাকা বৈদেশিক বাণিজ্য দফতর (ডিজিএফটি)-এর তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য, তুলা, সুতির পোশাক, প্লাস্টিক এবং পিভিসি দিয়ে তৈরি জিনিস, রঞ্জকের মতো পণ্য বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে প্রবেশ করতে পারবে না। স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে ভারতের যে সব অঞ্চল যেমন অসম, মিজোরাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ি শুল্ককেন্দ্র দিয়ে এইসব পণ্য প্রবেশ করতে পারবে না। তবে বাংলাদেশ থেকে আসা মাছ, এলপিজি, ভোজ্যতেলের ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি।

কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে বাংলাদেশের তৈরি করা রেডিমেড পোশাক এবং প্রসেসড ফুড সহ একাধিক পণ্য ঢুকবে না ভারতে। ইতিমধ্যে এই নিয়ম লাঘু হয়েছে চ্যাংড়াবান্ধা স্থল বন্দরে। যার জেরে সকাল থেকেই এই সীমান্তে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। চিন্তায় পড়েছেন ভারত বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের সাথে জড়িয়ে কয়েক হাজার শ্রমিক সহ ব্যবসায়ীদের একাংশ। শ্রমিকদের বক্তব্য, ভারত সরকার যা সিদ্ধান্ত নিয়ে তাকে মান্যতা দিয়েই আমরা নিজের রুজি রোজগার নিয়ে চিন্তায় পড়েছি। বাংলাদেশ থেকে আসা যে সকল পণ্যের ওপরে নিশেধাঙা জারি করেছে তাতে সমস্যায় পড়েছেন তারা। নিত্যদিন বিভিন্ন খাদ্যপণ্য নিয়ে ৫০টিরও বেশি গাড়ি ভারতে প্রবেশ করে বলেও তারা জানিয়েছেন। তবে ভারত সরকারের এই নিয়ম জারি হওয়াতে তারা কর্মসংস্থান হারানোর চিন্তায় পড়েছেন। যদিও এদিন সকাল থেকে বেশকিছু কাটাকাপড়ের গাড়ি বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করে।