স্ত্রীর পরকীয়ার প্রতিবাদ করেছিলেন স্বামী ও শ্বশুর । এমনকি বিয়ের এক বছরের মাথায় বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ডিভোর্সের বদলা নিতে জামাই ও তার বাবাকে হাঁসুয়া দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ। ঘটনাস্থলে মৃত্যু বাবার। শুক্রবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার হারুগ্রাম বারোবিঘা এলাকায়। গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে ছেলে । এই ঘটনায় হামলাকারী মেয়ের বাবার রাসিউল সেখ, তার এক আত্মীয় হাসনাত শেখ সহ ওদের দলবলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের পরিবার।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম তাজমুল শেখ (৫০)। আহতের নাম ফায়িম শেখ (২০)। তাদের বাড়ি বামনগ্রাম মোসিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চামাপাড়া এলাকায়। এদিন সন্ধ্যায় জমিতে কাজ করে বাড়ি ফিরছিলেন বাবা ও ছেলে। সেই সময় হারুগ্রাম বারোবিঘা মাঠের কাছে একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতি তাদের ঘিরে ধরে। এরপরই হাঁসুয়া দিয়ে এলোপাথারি কোপাতে থাকে। এই হামলার ঘটনার বিষয়টি আশপাশের লোকজন দেখে তাদের বাঁচাতে এলে দুষ্কৃতীরা এলাকা থেকে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই দুজনকে মালদা মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসলে তাজমুল শেখের মৃত্যু হয়। কালিয়াচক থানার পুলিশ জানিয়েছেন, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক। তাদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।
মৃতের স্ত্রী মিনি বিবি বলেন, আমার ছেলে ফায়িমের এক বছর আগে বিয়ে হয়েছিল গ্রামেরই রাসিউল শেখের মেয়ের সঙ্গে। কিন্তু পুত্রবধূ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। এটা আমরা হাতেনাতে ধরে নিয়েছিলাম। এরপরই ছেলের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। গ্রামে সালিশি সভা হয়ে মেয়ের পরিবারের বিরুদ্ধে পৌনে দু লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় । যদিও সেই টাকা ওরা দেয় নি। এদিন বদলা নিতে রাসিউল শেখ তার এক আত্মীয় হাসনাত শেখ ও তার দলবল হামলা চালিয়ে স্বামী এবং ছেলেকে খুনের চেষ্টা চালিয়েছে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে স্বামীর।