দুর্গাপূজার অনুদান বণ্টনে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে সোমবার প্রতিবাদে সরব হল বঙ্গীয় হিন্দু মহামঞ্চ। সংগঠনের পক্ষ থেকে শিলিগুড়ি মিউনিসিপাল কর্পোরেশনে উপস্থিত হয়ে মেয়র গৌতম দেবের কাছে দাবিপত্র জমা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে মেয়র অনুপস্থিত থাকায় পুলিশ কর্পোরেশনের গেটেই তাদের আটকে দেয়। এর প্রতিবাদে মহামঞ্চের কর্মীরা গেটের কাছেই অবস্থান-বিক্ষোভে বসে পড়েন।

মহামঞ্চের সাথে এদিন যোগ দেন শহরের প্রান্তিক এলাকার বেশ কিছু পূজা কমিটি এবং মহিলা পরিচালিত পূজা কমিটিগুলি। তাদের বক্তব্য, যখন বড় বড় পুজো কমিটিগুলিকে সরকার অনুদান দিচ্ছে, তখন ছোট পুজোগুলিকে কেন বঞ্চিত করা হচ্ছে? মহামঞ্চের দাবি—“যদি পূজা সবার হয়, তাহলে অনুদানও সবার হওয়া উচিত।”
বঙ্গীয় হিন্দু মহামঞ্চের কার্যকর্তা বিক্রমাদিত্য মন্ডল অভিযোগ করেন, “মুখ দেখে মুগের ডাল করছে এই সরকার। শাসক ঘনিষ্ঠ ক্লাবগুলিকেই অনুদান দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ ছোট পুজো কমিটি ও প্রান্তিক এলাকার মানুষরা বারবার বঞ্চিত হচ্ছেন।”
এদিনের আন্দোলনে অংশ নেয় ইসকন মন্দির রোডের মা ভগবতী মহিলা দুর্গাপূজা কমিটি। তাদের বক্তব্য, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে শুধু আবেদন জানাতে এসেছিলাম। কিন্তু সেটুকুও করার সুযোগ দেওয়া হল না। সরকারের কাছ থেকে কিছু আশা করাই ভুল।”
অন্যদিকে, দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বঙ্গীয় হিন্দু মহামঞ্চ। তারা স্পষ্ট জানিয়েছে, দুর্গাপূজা অনুদান বণ্টনে বৈষম্য চলতে থাকলে আগামী দিনে তারা রাস্তায় নেমে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে।