স্কুলের সীমানা প্রাচীরের ভেতরে পরিত্যক্ত জমি যেন আস্তানা চিতাবাঘের।এমনটাই দাবি এলাকার বাসিন্দাদের। আর এই আতংককে সাথে নিয়েই কালচিনি মডেল স্কুলে চলছে পঠন-পাঠন। বনদফতর তরফে খাঁচা পাতালেও,এখনও খাঁচাবন্দি হয়নি চিতাবাঘ। প্রশাসনের কাছে বিদ্যালয়ের জমির আগাছা পরিষ্কারের দাবি কতৃপক্ষের। কালচিনি ব্লকের উত্তর লতাবাড়ি এলাকায় অবস্থিত এই স্কুলে বিভিন্ন বনবস্তি ও চা বলয়ের ছেলে-মেয়েরা আসেন।পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত থাকা এই স্কুলে পড়ুয়াদের সংখ্যা প্রায় ৩০০ হলেও, বর্তমানে চিতাবাঘের আতংকে খুব কম পড়ুয়ারাই আসছে বিদ্যালয়ে। স্কুল কতৃপক্ষের কথায়, স্কুলের পেছনের দিকে প্রায় দশ বিঘার কাছাকাছি জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।পুরো জমি ছেয়ে গিয়েছে আগাছায়।

আর সেই আগাছাতেই আশ্রয় নিয়েছে একটি চিতাবাঘ বলে দাবি এলাকার বাসিন্দাদের।তাদের দাবি, স্কুলের সেই পরিত্যক্ত জমি থেকেই চিতাবাঘটি লোকালয়ে হানা দিয়ে বাসিন্দাদের ছাগল,শুকরের মতো গবাদি পশু নিয়ে যাচ্ছে। এমনকি দিনের আলোতেও স্কুলের সীমান্ত প্রাচীরে সেই চিতাবাঘকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছে বলে দাবি বাসিন্দাদের। এ বিষয়ে এলাকার বাসিন্দারা বলেন, “গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই আমাদের গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে চিতাবাঘ।এমনকি দিনের বেলাতেও অনেকের গবাদি পশু নিয়ে যাচ্ছে।চিতাবাঘটি মডেল স্কুলের পরিত্যক্ত জমিতে আশ্রয় নিয়েছে।শীঘ্রই সেই জমি পরিষ্কার হলে,এই আতংক থেকে রেহাই মিলতে পারে।” যদিও, এখনও চিতাবাঘের দেখা পাননি বলে দাবি স্কুল কতৃপক্ষের। যে কারণে স্কুলে স্বাভাবিক ছন্দে পঠন-পাঠন চললেও রয়েছে ভয়ও। তাদের কথায়, বাসিন্দাদের মুখে বিষয়টি শুনলেও এখনও আমাদের চোখে পড়েনি চিতাবাঘ।তবুও কোনোপ্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বনদফতরের কাছে আবেদনের পর খাঁচা পাতা হয়েছে। এছাড়া স্কুলে পেছনের দিকে যেতে বারণ করা হয়েছে পড়ুয়াদের।পাশাপাশি, স্কুলের পেছনে মিডেডে মিলের ঘর থাকলেও,চিতাবাঘের আতংকের জেরে তা সামনের দিকে নিয়ে আসা হয়েছে।আর এই আতংকের জেরে পড়ুয়ারাও কম আসছে স্কুলে।প্রশাসন তরফে স্কুলের আগাছা পরিষ্কার করা হলে,হয়তো এই আতংক থেকে রেহাই মিলবে।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নির্মাল্য ধর চৌধুরী বলেন, “এর আগে আমরা শিক্ষকরাই নিজেদের থেকে টাকা খরচ করে স্কুলের পেছনের জমি পরিষ্কার করেছিলাম।বর্ষা আসতেই আবার তা আগাছায় ছেয়ে গিয়েছে।এরজন্য এ নিয়ে প্রশাসনকে পরিষ্কারের আর্জি জানিয়েছি। চিতাবাঘের আতংক দূর হলেই, স্কুলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।”