সামান্য বৃষ্টিতে জলকাদা জমে তুফানগঞ্জ ১ ব্লকের দেওচরাই গ্রাম পঞ্চায়েতের নেপালের খাতা গ্রামে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। এর জেরে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রশাসনিক মহলে জানানো সত্ত্বেও কাজ না হওয়ায় আগামী ২৬ সের নির্বাচনে ভোট বয়কটের হুশিয়ারি বাসিন্দাদের।এ বিষয়ে দেওচরাই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান প্রমীলা বিশ্বাস দাস বলেন,’রাস্তাটির সংস্কারের জন্য উপরমহলে জানানো হয়েছে। শীঘ্রই সংস্কার করা হবে।’জানা গিয়েছে দেওচরাই গ্রাম পঞ্চায়েতের নেপালের খাতা মিলন বর্মনের বাড়ি থেকে পাগলির পাঠ ও মন্টুর বাজার পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তাটি শুরু থেকেই কাঁচা। বেহাল দশার ফলে বর্ষাকালে গ্রামবাসীদের চরম ভোগান্তি হয়। প্রতি বছর বর্ষায় খানাখন্দে ভরা রাস্তাটি জলকাদা জমে চলাচলের অযোগ্য হয়ে ওঠে। টোটো, ছোট গাড়ি এই রাস্তা দিয়ে যেতে চায় না। গেলেও যাত্রীদের কাছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়। এই রাস্তা দিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়ারা সহ বহু মানুষ যাতায়াত করে। জলকাদায় পড়ুয়াদের জামাকাপড় নোংরা হয়ে যায়।
এলাকাটি মূলত কৃষিপ্রধান। রাস্তার এমন বেহাল দশার জন্য উৎপাদিত ফসল ঘরে তোলা কৃষকদের কাছে মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।বাসিন্দাদের অভিযোগ মুমূর্ষ রোগীকে হাসপাতালে নিলে এম্বুলেন্স কে দুরে রেখে রোগীকে নিয়ে যেতে হয়।
শীত কালে গাড়ি যাতায়াতের সঙ্গে ধুলো ওড়ে। আর বর্ষাকালে কাদার জন্য রাস্তা দিয়ে চলা দায় হয়ে পড়ে। প্রশাসনকে বহুবার জানিয়েও কাজ হয়নি। রাজ্য সড়ক অবরোধ পর্যন্ত করেছেন বাসিন্দারা। শুধু প্রতিশ্রুতি মিলেছে কিন্তু কাজ হয়নি।
, ‘বেহাল রাস্তার কারণে কোনও অ্যাম্বুল্যান্স এলাকায় ঢুকতে চায় না। ফলে প্রসূতি ও মুমূর্ষু রোগীদের নিয়ে পরিজনদের সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাই রাস্তা টি যদি সংস্কার করা না হয় তাহলে ২৬ সের নির্বাচনে ভোট দান থেকে বিরত থাকবেন বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন বাসিন্দারা ,রাস্তাটি পাকা করতে বাসিন্দারা অবিলম্বে দাবি জানিয়েছেন।
