বেহাল রাস্তার প্রতিবাদে ধানের চারা পুঁতে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা।মালদার বামনগোলা ব্লকের,মদনাবতী গ্রাম পঞ্চায়েতে, ফরিদপুর এলাকার ঘটনা।এই গ্রামে একটি মাত্র রাস্তা,এই রাস্তার উপর নির্ভর করে চলাচলের একমাত্র পথ।এই এলাকায় প্রায় দুশো পরিবারের বসবাস। অথচ এখানকার রাস্তার বেহাল দশা।বিষয়টি একাধিকবার এলাকার নেতা মন্ত্রী থেকে শুরু করে, প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে জানানো হলেও সংস্কারের বিষয়ে কেউ কোনও উদ্যোগ নেননি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর।

বৃষ্টি হলেই জল-কাদা জমে রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরে এই ফরিদপুর গ্রামের রাস্তা । সে কারণে শুক্রবার সকালে বেহাল রাস্তায় ধানের চারা পুঁতে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। দ্রুত রাস্তা পাকা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন সহ ভোট বয়কটের হুশিয়ারি দিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন এই একটিমাত্র রাস্তা অল্প বৃষ্টিতে হাঁটু পর্যন্ত কাদা হয়ে পড়ে।যার ফলে স্কুল কলেজ থেকে শুরু করে অফিস বাজারহাট সবই বন্ধ হয়ে পড়ে।এলাকায় প্রায় ১০ থেকে ১২ টি টোটো রয়েছে তাদেরও ইনকামের পথ বন্ধ হয়ে পড়ে।দুই মাস ধরে এলাকার টোটো গুলি বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে।রাতে বা দিনে কোন সময় রোগী ও গর্ভবতী মহিলাদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হলে অ্যাম্বুলেন্সকে ফোন করলে তারা বলে আমাদের গাড়ি যাবে না।আপনার পাকা রাস্তায় নিয়ে আসুন।না পারতে গ্রামের মানুষকে দেখে রোগীকে কখনো ঘাড়ে কখনো বা খাটিয়া করে নিয়ে যেতে হয়।এই রাস্তায় অল্প বৃষ্টিতে বেহাল হয়ে পড়ে।তারা আরো জানান তাদের কিছু দরকার নেই শুধু রাস্তা চাই।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য জয়ন্তী মুমূ, এ বিষয়ে জানান,আমি নিজে বহুবার জানিয়েছি। গ্রাম পঞ্চায়েতর প্রধান থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসন ও জেলা শাসকের অফিসে কিন্তু কোন সঠিক উত্তর পাইন। রাস্তা হবে এই প্রতিশ্রুতি শুধু দেওয়া হয়।তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন তৃণমূলে গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে পঞ্চায়েত সমিতি রয়েছে জেলা পরিষদ রয়েছে আমি শুধু এই পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপি তাই জন্য কি এই রাস্তার কাজ হচ্ছে না।
অন্যদিকে, রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হবে বলে জানান এলাকার তৃনমূলের মালদা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পূর্ণিমা রারুই দাস।তিনি বলেন এমন কোন ব্যাপার নেই বিজেপি করে বলে রাস্তা কাজ হবে না রাস্তা কাজের রীতিমতো অর্ডার হয়েছে বর্ষার জন্য কাজ শুরু হচ্ছে না।
এ বিষয়ে বিজেপির হবিবপুর মণ্ডল ১ সহ-সভাপতি অজয় রায় বলেন,মুখ্যমন্ত্রী পথশ্রী প্রকল্পের কি উন্নতি হলো মালদাহের বামনগলায় তা নিজের চোখে দেখা যাচ্ছে।জেলা পরিষদ থেকে শুরু করে গ্রাম পঞ্চায়েত সবই তৃণমূলের দখলে।কিন্তু উন্নতি কোথায়। ভবনগুলো তো কোন উন্নতি দেখতে পাচ্ছি না। সাধারণ মানুষ একটি রাস্তার জন্য ভুক্তভোগীরা ।