বেহাল রাস্তা ঢোকেনা গ্রামে অ্যাম্বুলেন্স ও অন্যান্য যানবাহন স্বাভাবিক ভাবেই অসুস্থ রোগীকে চ্যাঙদোলা করে খাটিয়া করে নিয়ে যেতে হয়।এমনি ফের ছবি ধরা পড়লো মালদার রতুয়া-১ ব্লকের সামসি গ্রাম পঞ্চায়েতের পিন্ডলতলা দক্ষিণপাড়া গ্রামে।স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েও হাল ফেরেনি বেহাল রাস্তার।তাই ক্ষুব্ধ গ্রামের বাসিন্দারা।খুব দ্রুত রাস্তা মেরামত করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা পরিষদ সদস্য।
জানা গিয়েছে,গ্রামের বাসিন্দা আলি হোসেন(৭৫)।বাড়ি পিন্ডলতলা গ্রামে।এদিন যখন একদিকে বেহাল রাস্তার জন্য পথে নেমে গ্রামের বাসিন্দার প্রতিবাদ শুরু করে সেই সময় আলি হোসেন বুকের ব্যাথায় আক্রান্ত হয়। সেই সময় তাকে চিকিৎসার জন্য খাটিয়ায় করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ছবি ধরা পরে। কারন এতটাই বেহাল রাস্তা সেই রাস্তা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স বা কোন যানবাহন সেখানে ঢুকতে চাই না।

তাই বাধ্য হয়ে এই ভাবে রোগীকে ধিয়ে যেতে হয় চিকিৎসার জন্য। প্রায় ৮০০ মিটার রাস্তার বেহাল দশায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন প্রায় ২০০০ বাসিন্দা।কাদা আর গর্তে ভরা রাস্তায় অসুস্থ মানুষকে খাটিয়ায় করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হচ্ছে।স্কুলপড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াত কার্যত বন্ধ।ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা প্রতীকি প্রতিবাদে রাস্তায় ধানর চারা রোপণ করেন। গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম ও মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান,এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলাচল করেন।বহুবার জানিয়েও কাজ হয়নি। এবার আন্দোলনে নামতে বাধ্য হন গ্রামের বাসিন্দারা।
জেলা বিজেপি নেতা অভিষেক সিঙ্গানিয়া বলেন,এটই তৃণমুল মডেল।যেখানে জেলা পরিষদ তৃণমুলের,বিধানসভা তৃণমুলের, গ্রামপঞ্চায়েত তৃণমুলের তাহলে উন্নয়ন হয় না কেন। এখানে সকলে আগে থেকেই উন্নয়নের ভাগ নিয়েছে। তাহলে উন্নয়ন কি ভাবে হবে।
জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ ফজলুল হক বলেন,বিষয়টি শুনেছি।জেলা পরিষদের তরফে কাজ হবে।বিজেপির কথা ভিত্তিহীন।
পঞ্চায়েত প্রধান মনীষা দাস জানান, জেলা পরিষদের অংশ শেষ হলে বাকি রাস্তা পাড়াই সমাধানের মাধ্যমে করা হবে।