বিনা চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে উত্তাল মেখলিগঞ্জ মহকুমা হাসপাতাল। অন কল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে হাসপাতাল থেকে ফোন করা হলেও তিনি এসে চিকিৎসা শুরু করেনি। তার গাফিলতিতে তাকে শোকজ করা হবে বলে জানান মেখলিগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালের সুপার তাপস কুমার দাস।
জানা গেছে বৃহস্পতিবার রাতে এক রোগী শ্বাসকষ্ট, খিচুনি সহ অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয় হলদিবাড়ির সাবেনা খাতুন নামে এক মহিলা। অভিযোগ দীর্ঘক্ষণ ফেলে রেখেও চিকিৎসা শুরু করা হয়নি।

ইমার্জেন্সিতে থাকা চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসক করে অনকলে ডিউটিতে থাকা চেস্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অভিজিৎ সাহাকে ফোন করা হয়। কিন্তু তারপরও তিনি আসেনি। পরবর্তীতে রাতেই রোগীর মৃত্যু হয়। শুক্রবার সকালে রোগীর পরিজনরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখান। রোগীর দেওর অভিযোগ করে জানান হাসপাতাল গুলি ঝা চকচকে করে বানালেও ভেতরে একদম ফাঁকা। চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। চিকিৎসকদের গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়। দোষী চিকিৎসকের শাস্তির দাবি জানান। অন্যদিকে হাসপাতাল সুপার জানিয়েছেন ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। যে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাকে শোকজ করা হবে কেন তিনি অনকলে থাকলেও আসেনি। রোগী সাবেনার মৃত্যুতে দিশেহারা পরিবার। জানা গেছে তার পাঁচ সন্তান। চার সন্তান অল্প বয়সের। স্বামী প্যারালাইজড রোগী। এই পরিস্থিতিতে বাচ্চাদের কি ভাবে মানুষ করবেন তা নিয়েই চিন্তিত পরিবার।
হাসপাতাল সুপার তাপস কুমার দাস জানান, গতকাল রাতে এক রোগী শ্বাসকষ্ট সহ খিছুনি নিয়ে হাসপাতালে ভর্ত্তি হয়। ইমারজেন্সির চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে যা করার তা করা হয়। হঠাৎ করে রোগীর অবস্থা খারাপ হয় এবং রোগীর মৃত্যু হয়৷ কর্ত্যবরত চিকিৎসক অন কল চিকিৎসককে জানানো হলেও চিকিৎসক আসে নি বলে জানান তিনি। চিকিৎসককে শোকজ করা হয়েছে বলে জানান তিনি ।
বিজেপি নেতা আসেকার রহমান বলেন, এই হাসপাতাল পরিষেবা দিতে ব্যার্থ। রাতে রোগী আসলে তাদের সমস্যায় পড়তে হয়। বিজেপির পক্ষ থেকে বারংবার রোগী মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে সুপারের সাথে আলোচনা করেছেন। কেন সাধারণ মানুষ সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছে না। ডাক্তাররা প্রাইভেট চেম্বার নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তারা সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায়কে জানানো হয়েছে খুব তাড়াতাড়ি সাংসদ মেখলিগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে আসবেন ৷