ফের বুনো দাঁতাল হাতির হানা, জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের শালবাড়ি ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতে তাণ্ডব, দোকান ভেঙে দোকানের যাবতীয় খাবার সাভার।
প্রতিনিয়ত মরাঘাট জঙ্গল থেকে খাবারের সন্ধানে চলে আসছে বুনো হাতির দল—কখনো একা, কখনো বা গোটা দল নিয়ে। ঠিক তেমনি ঘটল এই ভোরবেলাতেও।
জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের শালবাড়ি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত উৎপলের মোড় এলাকায় এদিন ভোররাতে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে এক দাঁতাল বুনো হাতি হানা দেয়। হাতিটি পৌঁছে যায় একটি মুদিখানার দোকানে। দোকানের ভিতরের চাল, ডাল সহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী খুঁজে খুঁজে খেয়ে ফেলে। সেই সঙ্গে দোকানের আসবাবপত্র ও কাঠামো ভেঙে তছনছ করে দেয়।

দোকানের মালিক জানান, “হাতিটা হঠাৎ করে ঢুকে পড়ে। চাল, ডাল, তেল, বিস্কুট যা পায় সব নষ্ট করে খেয়ে যায়, কিছু নিয়ে যায়। দোকানটাও গুঁড়িয়ে দিয়েছে। আমরা বনদপ্তরকে খবর দিয়েছিলাম, কিন্তু তারা আসেনি।”
স্থানীয় বাসিন্দারাও জানিয়েছেন, ভোরবেলার দিকে হঠাৎ শব্দ শুনে তারা ঘুম থেকে জেগে ওঠেন। বাইরে বেরিয়ে তারা দেখতে পান বিশাল দাঁতাল একটি হাতি দোকানে তাণ্ডব চালাচ্ছে। আতঙ্কে কেউ কিছু করার সাহস পাননি।
শালবাড়ি ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের চানাডিপা সহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় এখন চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বনদপ্তরের নিষ্ক্রিয়তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
এই চানাডিপা এলাকায় অতীতে হাতির হানায় একাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। পাশাপাশি বাদ যায়নি স্কুল, আইসিডিএস সেন্টার সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও—হাতির তাণ্ডবে নষ্ট হয়ে গিয়েছে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিশু বিকাশ কেন্দ্র।
স্থানীয়দের দাবি, বনদপ্তরের নিয়মিত টহল জোরদার করতে হবে এবং খবর দেওয়া মাত্রই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে, ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান করার জোর দাবি তুলেছেন তারা।