নিউ ময়নাগুড়ি রেল স্টেশনের খুব কাছেই ২৪ নাম্বার রেলগেটে দুর্ঘটনা, জানা যায় এদিন ময়নাগুড়ি ব্যাঙ কান্দিএলাকার বাবুল রায় তার ৬ বছরের ছেলে এবং তার স্ত্রীকে নিয়ে স্কুলে দিতে যাচ্ছিলো ময়নাগুড়িতে বাবুল বাবু। সেই সময় হঠাৎ রেলগেট পড়ে গেলে তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে যান। আপ নর্থইস্ট ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাওয়ার পরেই এই ঘটনাটি ঘটে।, যথারীতি রেলগেট খুলে গেলে বাবুল রায় তার ছেলে এবং স্ত্রীকে নিয়ে রেলগেট পার হতে গেলে বাবুলবাবু তার ছেলে পার হয়ে গেলেও পিছনে থাকার স্ত্রীর উপরে আচমকা রেলগেটেটি তার মাথার উপরে পড়তে গেলে স্ত্রী নবমিতা রায়। হাত দিয়ে ছড়িয়ে দিলে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যায় ,এবং আহত হয়। তড়িঘড়ি তাকে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, এবং তাকে চিকিৎসা করা হয়, হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে জানা যায় তার কোমরে ও যে বিভিন্ন অংশে রেলগেটে ধাক্কায় জখম হয়।

পরবর্তীতে তাকে হাসপাতাল থেকে স্ক্যান এবং এক্সরে করতে বলা হয়। এই অবস্থায় বর্তমানে বাবুল রায় স্ত্রী বাড়িতে রয়েছে। বাবুল বাবু বলেন তাকে অন্যত্র চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে, রিপোর্টগুলি পেলে। যদিও বাবুল বাবুর অভিযোগ এই ঘটনার পর রেল দপ্তর থেকে কোনরকম সহযোগিতা পায়নি। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন এটাই নতুন না, এর আগে ও এইরকম ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে এলাকার আরেক বাসিন্দা জানান এই বিষয় নিয়ে আমরা বারবার রেলকে চিঠি করেছি। এই ধোনে দুর্ঘটনার জন্য এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ। তারা চান এই রেলগেটে ফ্লাইওভার করা হোক তাহলে এই দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পাবে অনেকেই। কারণ ময়নাগুড়ি স্টেশন লাগুয়া এই ২৪ নাম্বার রেলগেটে প্রায় প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে এর আগেও ঘটেছিল, আমরা চাই রেল দপ্তর এ ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নিক। রেল পুলিশ এবং জিআরপি ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে।
এলাকার এক বাসিন্দা অপু বাবু বলেন আমরা এই বিষয় নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ জানাবো রেল দপ্তরে।
অন্যদিকে রেল গেটের গেটম্যান নরেশ চন্দ্র রায় বলেন আমাদের একটু সমস্যা ছিল গেটে, হয়তো সেজন্য এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেন। অন্যদিকে তিনি আরো বলেন টেকনিক্যাল সমস্যা ছিল বলেই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
অন্যদিকে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনের আরপিএফ ইন্সপেক্টর বিপ্লব দত্ত বলেন, এই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে। এক মহিলাও যখন হয়েছেন। সম্ভবত টেকনিক্যাল ত্রুটিজনিত কারণে হতে পারে বলে ধারণা।