অর্ণব পাল, মালদা:নামেই আইসিডিএস কেন্দ্র। নেই কোন ঘর। তাই রাস্তার উপরেই চলে রান্নাবান্না। রাস্তার উপরেই খাওয়া দাওয়া। বালাই নেই পড়াশোনার। এলাকায় সরকারি জমি থাকলেও গড়ে ওঠেনি আইসিডিএস কেন্দ্রের জন্য কোন ঘর। বারবার বিভিন্ন দপ্তরে জানিও কোন লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। গাজলের এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
গাজোল ব্লকের দেওতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ধাওয়েল গ্রামের। এই গ্রামে রয়েছে ৫১২ এবং ৫১৪ নম্বর দুটি আইসিডিএস কেন্দ্র। কিন্তু দুটি কেন্দ্রের নিজস্ব কোন ঘর না থাকায়, কখনো গ্রামের কারো বাড়িতে আবার কখনো খোলা আকাশের নিচে রান্নাবান্নার কাজ চলে। যেহেতু কোন ঘর নেই তাই বাচ্চাদের পড়াশোনার কোন বালাই নেই। ওই দুটি শিশু বিকাশ কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্মী কুমকুম দাস অধিকারী বললেন – দুটি কেন্দ্রের একটিরও ঘর নেই। বাধ্য হয়ে কখনো কারো বাড়ির বারান্দায় আবার কখনো খোলা আকাশের নিচে আমাকে রান্নাবান্নার কাজ করতে হয়। বাচ্চাদের তো আর রাস্তায় বসিয়ে খাওয়াতে বা পড়াতে পারবো না, তাই খাবার দিয়ে তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।প্রসূতি মায়েদের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা।

। গাজোলের বিজেপি বিধায়ক চিন্ময় দেব বর্মন সরজমিনে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে যান।এলাকায় তিনিও শিশুদের সাথে রাস্তায় বসে পাত পেড়ে খেলেন। এই সমস্যার কথা নির্দিষ্ট দপ্তরে তিনি জানাবেন পাশাপাশি তিনি জানান সরকারি জমিতে আইসিডিএস কেন্দ্র হবে বলে এলাকার মানুষ বহুবার প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছে কিন্তু সরকারি জমি দখল করেছে তৃণমূল নেতা সেখানে প্রশাসন বিষয়টি দেখছে না l গাজোল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও তৃণমূল নেতা মোজাম্মেল হোসেন জানান বিষয়টি আমরা জানি তবে যে অভিযোগটি করা হচ্ছে সেটা সঠিক নয় খাস জমিতে কেউ বাড়ি করেনি তাও আমরা তদন্ত করে দেখব আইসিডিএস কেন্দ্র এলাকায় দ্রুত হবে । আর বিজেপি বিধায়ক এলাকায় গিয়ে অপপ্রচার করছে ।
এই বিষয়ে শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিক খোকন বৈদ্য বললেন - ওই গ্রামের দুটি আইসিডিএস কেন্দ্র আমাদের তালিকাভুক্ত রয়েছে। নতুন আইসিডিএস কেন্দ্র তৈরির কাজ শুরু হলে প্রথমে ওই দুটি কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। সরকারি খাস জমিও জবরদখল মুক্ত করা হবে।