মুমূর্ষ রোগীকে কাঁধে করে নিয়ে গিয়ে তুলতে হয় গাড়িতে! দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে রাস্তার বেহাল অবস্থা, দুই দলের রাজনৈতিক টানাপড়নে রাস্তা থেকে বঞ্চিত গ্রামবাসীরা বলে দাবি,তাই বাধ্য হয়ে রাস্তায় ধানের চারা বুনে প্রতিবাদ করলেন গ্রামবাসীরা। ভোট আসে ভোট যায় নেতারা শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায়। বাম আমল থেকে এভাবেই পড়ে রয়েছে ধূপগুড়ি মহকুমার মাগুরমারী দুই নং গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম মল্লিক পাড়ার ১৫ /১৩৬ বুথের এই রাস্তাটি।এদিন গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে ধানের চারা বুনে প্রতিবাদ জানায়। স্থানীয়দের দাবি স্কুল, বাজার, সরকারি অফিস, হাসপাতালে যেতে হলে এই রাস্তাই ব্যবহার করতে হয় গ্রামবাসীদের বর্ষাকালে ৬ মাস যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় এই রাস্তা দিয়ে তখন অনেকটা ঘুর পথে যেতে হয় গ্রামবাসীদের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকার পড়ুয়াদের। পড়ুয়ারা জানায় এই রাস্তা ধরে পশ্চিম মল্লিকপাড়া হাইস্কুলে তাড়া যায়, বর্ষাকালে এই রাস্তা ছয় মাস কাদায় ভর্তি থাকলে তখন অনেকটা ঘুর পথে স্কুলে যেতে হয় তাঁদের।

অন্যদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ এলাকায় বিজেপি ও তৃণমূল এই দুই দলের রেষারেষিতে হচ্ছে না রাস্তার কাজ, এলাকায় রয়েছে বিজেপির পঞ্চায়েত যার কারণে তৃণমূল পরিচালিত মাগুরমারি দুই নং গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে বিষয়টি বারবার জানিয়েও হয়নি কোন সুরোহা। তবে খুব দ্রুত রাস্তার সমাধান না হলে ২৬শের বিধানসভা ভোটের আগে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
বিজেপির জেলা সম্পাদক মাধব চন্দ্র রায় জানিয়েছেন কেন্দ্র সরকার সমস্ত রাজ্যগুলোকে সমানভাবে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ দিয়ে যাচ্ছে সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেস স্বজনপোষণের রাজনীতি করছে শুধু মাগুরমারি দুই নয় রাজ্যের প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েতে যেখানে বিজেপির পঞ্চায়েত বা প্রধান রয়েছে সেই সমস্ত এলাকায় কোন কাজ না দিয়ে এলাকার মানুষকে বঞ্চিত করছে তৃণমূল।
মাগুরমাড়ি দুই নং গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নূর হোসেন বলেন যে রাস্তাটির কথা বলা হয়েছে সেটা গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে করা সম্ভব নয় এই দাবিটা জেলা পরিষদে জানানো হয়েছে , তিনি আরো বলেন রাস্তায় ধানের চারা বুনে বিক্ষোভ এটা বিজেপির চক্রান্ত মা মাটি মানুষের সরকারকে বদনাম করার একটা চেষ্টা।