অর্ণব পাল, মালদা: দুই পরিবারের বিবাদে তৃণমূল নেতার দাদাগিরি তার মাঝে ঢুকে এক পরিবারের পক্ষ নিয়ে প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতার দাদাগিরি।প্রকাশ্য রাস্তায় গ্রামের এক বাসিন্দাকে মারধোর। মহিলাদের শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ।সেই সিসিটিভি ফুঠেজ প্রকাশ্যে। থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে বয়ান পাল্টে আনতে বলে পুলিশ। বাধ্য হয়ে পোস্ট অফিস মারফত থানায় অভিযোগ দায়ের গ্রামবাসীর। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূল নেতার।তীব্র কটাক্ষ বিরোধীদের।মালদহের মোথাবাড়ি থানার রথবাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা।

গ্রামের এক বাসিন্দার অভিযোগ,তার নাবালক ছেলের সাথে প্রতিবেশী আর এক ছাত্রের বিবাদ হয়।এই নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বচসা হয়।এরই মাঝে বিপক্ষ পরিবারের পক্ষে দাঁড়িয়ে এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য সম্পা দাসের,স্বামী এলাকার তৃণমূল নেতা উত্তম দাস প্রকাশ্য রাস্তায় ঘটনাস্থলে এসে তাদের মারধর করে।তার স্ত্রী ও তার মেয়ের শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করে। মোথাবাড়ি থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ বয়ান পাল্টিয়ে আনতে বলে।তৃণমূল নেতা বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই কারণেই পুলিশের এরকম ব্যবহার বলে অভিযোগ।
বাধ্য হই তিনি পোস্ট অফিস মারফত থানায় অভিযোগ জানান।

যদিও ওই তৃণমূল নেতা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।তার দাবি তার কাছে খবর আছে দুই পরিবারের মধ্যে প্রকাশ্য রাস্তায় বিবাদ চলছে।তা মেটাতেই তিনি গেছিলেন। তখনই তার উদ্দেশ্যে গালাগালি করা হয়।তার প্রতিবাদ করেন তিনি।তাকে তার বিরোধীরা ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বদনাম করার চেষ্টা করছে।

শাসক দল ও পুলিশকে তীব্র কটাক্ষ বিজেপির। জেলা বিজেপির সভাপতি অজয় গাঙ্গুলী বলেন, ছোটখাটো কোন ঘটনা পাড়াতে ঘটলেই লোকাল তৃণমূলের নেতারা সেখানে যুক্ত হয়ে পড়ছে। এরপরই সালিশি সভা করছেন আর সেখানে যার পক্ষে যাওয়ার কথা তার বিপক্ষে যাচ্ছে। তারপর তারা সেই পরিবারের উপর চড়াও হচ্ছে। থানাতে গেলে বলিহারি পুলিশ বয়ান পাল্টে নিয়ে আসতে বলছে। যাতে তৃণমূল নেতৃত্বকে বাঁচানো যায়। তাই বাধ্য হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছেন পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হচ্ছে। এই যদি হতে থাকে তাহলে আজকে পুলিশ প্রশাসন থানা বলে কিছুই থাকবে না। থানা বলি যে কিছু নেই তা লোকাল নেতৃত্ব তুলে দিয়েছে।। আমরা চাইছি পুলিশ যেন মানুষের হাত থেকে বাঁচে। তাদের সম্মান রক্ষার্থে বিজেপি এখনো তাদের পাশে আছে। তারা যেন একটু নিরপেক্ষতা দেখায় আমরা বারবার বলে আসছি।

জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি শুভময় বসু বলেন,গ্রাম্য বিবদের জেরে এই ঘটনা। এর সাথে দলের কোন যোগ নেই তৃণমূলের।