জোড়া খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য কোচবিহার জেলার দিনহাটা মহকুমার ভেটাগুড়ি এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে দিনহাটার ভেটাগুড়ি ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের নগরমন্ডল বাজার সংলগ্ন উত্তর বালাডাঙ্গা এলাকায়। মৃত ওই দুই ব্যক্তির নাম হাসানুর রহমান (৩৫)। তার বাড়ি কান্তিরখাওয়া এলাকায়। অপরজন ইউসুফ মিঞা (৫৫)। তার বাড়ি দিনহাটা আটিয়াবাড়ি প্রথম খন্ড পশ্চিম এলাকায়।



স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ নগরমন্ডল বাজার সংলগ্ন উত্তর বালাডাঙ্গা এলাকায় একে অপরের সাথে বচসায় জড়ান। এরপর দুজন দুজনকেই ছুরি মারে বলে অভিযোগ। পরে স্থানীয়রা তা দেখতে পেয়ে ছুরিকাহত অবস্থায় উদ্ধার করে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। এখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদের দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে খবর পেয়ে দিনহাটা থানার পুলিশ প্রথমে হাসপাতালে যায়। পরে এখান থেকে দিনহাটা এসডিপিও ধীমান মিত্র ও দিনহাটা থানার আইসি জয়দীপ মোদকের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী নগর মন্ডল বাজার সংলগ্ন উত্তর বালাডাঙ্গা এলাকার ঘটনাস্থলে যান। সেখানে তারা সরেজমিনে এই জোড়া খুনের তদন্ত শুরু করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
মৃত হাসানুর রহমানের স্ত্রী সাহেরা বানু বিবি জানান, তাকে পাশের বাড়ির একজন গিয়ে খবর দেয় যে তার স্বামীকে কে যেন ছুরি মেরেছে। তিনিও শোনামাত্র ছুটে গিয়ে দেখেন জমিতে পরে রয়েছেন তার স্বামী। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান তার মৃত্যু হয়েছে। তবে তার অভিযোগ, এরা নিজেরা লড়াই করে মারা যাননি। এদের মৃত্যুর পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে। এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন তিনি।



মৃত হাসানুর রহমানের পরিজন ইব্রাহিম মিঞা এদিন দাবি করেন, ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে মৃত্যু হয়েছে হাসানুরের। তার যুক্তি যদি দুজনে দুজনকে চুরিকাহত করে মারা যান তাহলে ঘটনাস্থলে অস্ত্র উদ্ধার হবে কিন্তু এক্ষেত্রে কোন অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। অতএব এই ঘটনায় কোন বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি তার।
এপ্রসঙ্গে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য জাকির মিঞা এদিন বলেন, যে দুজন মারা গিয়েছেন তারা দুজনেই জেল খাটা আসামি। এদের দুজনের মধ্যে কি সম্পর্ক ছিল, তা জানা নেই। এরা দুজনেই দুষ্কৃতি দুজন দুজনকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন এই পঞ্চায়েত সদস্য।