নিজস্ব সংবাদদাতা: জলপাইগুড়ির যমুনা নদী ভাঙনে আতঙ্কে গ্রামবাসীরা। লাগাতার ভাঙনে কৃষিজমি, ক্ষুদ্র চা বাগান, বাঁশ বাগান ও বসতবাড়িও নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। বার বার প্রশাসন ও গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে সমস্যা তুলে ধরার পরেও কাজ হচ্ছে না বলে দাবি।
জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের গড়ালবাড়ি ও বেরুবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা নদীর ভাঙন বাড়ছে বলে দাবি। নদী ভাঙনে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩০-৪০ বিঘা জমি চলে গিয়েছে। কৃষিজমি জমি নদী গর্ভে চলে যাওয়ার খুবই সমস্যার মধ্যে রয়েছেন কৃষকরা।

অভিযোগ, লাগাতার বেআইনিভাবে যমুনা নদী থেকে বালি হয়। এর জন্য নদীর গতিপথ পাল্টে গিয়েছে। জলস্তর নামতেই ভাঙন শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রচুর চা বাগান নদী গর্ভে চলে গিয়েছে। স্থায়ীয় বাসিন্দা শম্ভু রায় বলেন, “৪০-৫০ বিঘা কৃষিজমি রয়েছে নদীর আশেপাশে৷ এখন নদী ভাঙন বসতবাড়ি থেকে এগিয়ে আসছে। ভাঙন আর মাত্র ১০-১৫ মিটার এগোলে আমার বাড়ি। আমার নিজের ৭ বিঘা জমি নদীতে চলে গিয়েছে। সেচ দফতরকে জানানো হয়েছে। আমাদের এলাকাটি হল গড়ালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের সরকার পাড়া।” গ্রামবাসী জয়ন্ত রায় বলেন, চা বাগান বাঁশ বাগান নদীতে। এখন বারুণী মেলার মাঠের দিকে চলে এসেছে নদী৷ সমাধান চাই।” স্থায়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা শ্যামলী রায় বলেন, “প্রচুর জমিতে নদী ভাঙন হচ্ছে। আমি গ্রামবাসীর সমস্যা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাচ্ছি।” জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি সীমা চৌধুরী বলেন, “জেলা পরিষদের তরফে সেচ দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে।”