কোচবিহারের মহারাজা জগদ্বীপেন্দ্র নারায়ণ ভুপ বাহাদুর দ্বারা নির্মিত সংস্কৃত কলেজের জমি বিক্রি করা চলবে না, সংস্কৃত কলেজের জমি- সংস্কৃত কলেজকে ফিরিয়ে দিতে হবে। এর পাশাপাশি মহারাজার স্মৃতি বিজড়িত সংস্কৃত কলেজকে হেরিটেজ তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা সহ সংস্কার করে পুনরায় এই কলেজে পঠন পাঠন চালুর দাবিকে সামনে রেখে রবিবার এই কলেজের সামনে বিক্ষোভ এবং এই কলেজ চত্বরে দাবি সংবলিত পোস্টারিং করল বিশ্ব রাজবংশী উন্নয়ন মঞ্চ।
বর্তমানে পোড়ো বাড়ির রূপ নিয়েছে কোচবিহার শহরের ম্যাগাজিন রোডে অবস্থিত এই সংস্কৃত কলেজ।
ইতিমধ্যেই এই পরিত্যক্ত সংস্কৃত কলেজ ভবন চত্বরে জমির একাংশ হস্তান্তর করে দেওয়া হয়েছে কোচবিহার ঠাকুর পঞ্চানন মহিলা মহাবিদ্যালয়কে।

১৯৫৭সালে কোচবিহারের মহারাজা জগদ্দীপেন্দ্র নারায়ণের আমলে তৈরি হয়েছিল ওই কলেজটি। কিন্তু সময় এগোনোর সঙ্গে সঙ্গেই পর্যাপ্ত পড়ুয়ার অভাব দেখা দিতে শুরু করে। কমতে থাকে শিক্ষকের সংখ্যাও। প্রায় ১৯৯৬সাল থেকে বন্ধই হয়ে যায় এই সংস্কৃত কলেজ।
২০০৭সালে প্রথম ঠাকুর পঞ্চানন মহিলা কলেজ কর্তৃপক্ষকে ছাত্রী আবাস তৈরির জন্য জমি দেওয়ার প্রস্তাব পাঠায় প্রশাসন। কিন্তু বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন ছিল। পরবর্তীতে ২০১৫সাল নাগাদ সংস্কৃত কলেজের প্রায় ১১কাঠা জমি ঠাকুর পঞ্চানন মহিলা কলেজকে হস্তান্তরের সবুজ সংকেত দেয় রাজ্য সরকার।
এই ঠাকুর পঞ্চানন মহিলা কলেজের ছাত্রী সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলেও কলেজে পর্যাপ্ত জায়গা নেই। এই পরিস্থিতিতে সংস্কৃত কলেজ ভবন ও লাগোয়া জমির বাইরে থাকা প্রায় ১১কাঠা জমি কলেজ কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে কলেজ সূত্রে খবর। এখানে ছাত্রী আবাস ও সংস্কৃতের স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রম চালুর জন্য ভবন নির্মানের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে দীর্ঘ প্রায় দুই দশক ধরে পঠন-পাঠন বন্ধ থাকায় সংস্কৃত কলেজ ভবনটিরও এখন ভগ্নপ্রায় দশা। ঝোপ, অগাছায় ঢাকা পড়েছে একসময়ের জমজমাট এই কলেজ ভবন। অবিলম্বে এই কলেজে পঠন পাঠন চালু সহ নির্দিষ্ট এই দাবিগুলিকে সামনে রেখে আন্দোলন শুরু করেছেন তারা বলে দিন জানান এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পার্থ বর্মন।