কোচবিহার পৌরসভা ও কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির দ্বন্দ্ব-চরমে। কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুরোজ কুমার হাসকে ব্যক্তিগত আক্রমণের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হল কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতি। বুধবার কোচবিহার জেলার সমিতির সাধারণ সম্পাদককে পাশে বসিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মতিলাল আল জৈন এদিন বলেন, কোচবিহার পৌরসভার পৌর প্রধান অভিযোগ করেছেন তারা নাকি মুখ্যমন্ত্রীকে ভুল তথ্য পরিবেশন করেছেন এবং কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুরোজ কুমার ঘোষ কে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যানের মতো একজন বিশিষ্টজনের কাছে এধরনের মন্তব্য আশা করে না জেলার ব্যবসায়ী সমিতি বলে এদিন জানান তিনি।
সোমবার শিলিগুড়িতে কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুরোজ কুমার ঘোষ কোচবিহার পৌরসভা অন্তর্গত ভবানীগঞ্জ বাজারের ভগ্ন দশার কথা। এদিন এই ভবানীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স ফি বৃদ্ধি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামজারি করবার ক্ষেত্রে বড় অংকের টাকা ধার্য করা সহ বিপুল পরিমাণ কনজারভেন্সি চার্জ বৃদ্ধি করেছে পৌরসভা। এই বিষয়টি এদিন সুরোজ কুমার ঘোষ মুখ্যমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরতেই মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন এ বিষয়টি তার জানা ছিল না এই ৩টি বিষয় রাজ্যের মুখ্যসচিব দেখে নেবেন বলে এদিন আশ্বস্ত করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে।
এরপরই কোচবিহার পৌরসভার পৌর প্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বিভিন্ন তথ্য সামনে এনে বলেন, কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুরোজ কুমার ঘোষ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যে অভিযোগগুলো করেছেন সবই মিথ্যে অভিযোগ। কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুরোজ কুমার ঘোষ বারবার মিথ্যা অভিযোগ করে কোচবিহার পৌরসভাকে হেনস্তা করতে চাইছেন, লোকের চোখে পৌরসভাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে চাইছেন এবং কোচবিহার পৌরসভার শ্রমিক কর্মচারী, যারা দিনরাত কাজ করছেন তাদেরকে তিনি ছোট করতে চাইছেন, অসম্মান করতে চাইছেন, এই অসম্মান বন্ধ করা হোক।
