মুখের ভাষা আতঙ্কের কারণ আর সেটা যদি হয় বাংলা। তাহলে তো কথাই নেই। সোজা বাংলাদেশী তকমা দিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে জোটে বেধড়ক মারধর। সআধার কার্ড ,ভোটার কার্ড ,রেশন কার্ড দেখালেও সেগুলো হয় ছুড়ে ফেলা হচ্ছে নতুবা পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। ছাড়াতে গেলেই দাবী করা হচ্ছে মোটা অংকের টাকা। দিতে না পারলে উলঙ্গ করে বেধরক মারধর যুক্ত বলে অভিযোগ শ্রমিকদের। সেই আতঙ্কেই ফের হরিয়ানা থেকে প্রায় পালিয়ে কোচবিহারের তুফানগঞ্জ মহকুমার বলরামপুরে ফিরলেন প্রায় ২৫ জনের মতো পরিযায়ী শ্রমিক। কেউ ট্রেনে আবার কেউ বাস ভাড়া করে পৌঁছান বলরামপুরের বাড়িতে।

খবর শুনে পরিযায়ী শ্রমিকদের সাথে দেখা করতে ছুটে আসেন বলরামপুর এক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিক্রম অধিকারী, অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি কুমার নীরেন্দ্র নারায়ন, যুব সভাপতি আমজাদ আলী সহ অন্যান্যরা। তারা পরিজায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন। প্রসঙ্গত কোচবিহার জেলার বিভিন্ন প্রান্তের সাথে সাথে তুফানগঞ্জ এর বিভিন্ন এলাকার প্রচুর শ্রমিক ভিন রাজ্যে কাজের সুবাদে রয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরেই তারা কাজ করছেন। কিন্তু বাধ সাধে তাদের মুখের ভাষা। অভিযোগ বাংলা ভাষায় কথা বললেই বাংলাদেশী তকমা দেওয়া হতো এবং সাথে সাথে রোহিঙ্গা তকমা দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হত। কেউ ঘর ভাড়া দিত না। ঘর ভাড়া থাকলেও দ্রুত ছেড়ে দিতে বলতেন। বলরামপুরের মরিচ পাড়ার জরিবউদ্দিন মিয়া জানান তিনিসহ আরও বেশ কিছু বাঙালি তারা হরিয়ানার গুরু গ্রামে থাকতেন। তিনি সেখানে চায়ের দোকান করতেন। সেই চায়ের দোকান ভেঙ্গে দেয় এবং হুমকি দেয় দ্রুত হরিয়ানা ছাড়ার জন্য এবং তাদের গুরুতর অভিযোগ যারা তুলে নিয়ে যাচ্ছে তারা পুলিশের লোক নয়। স্থানীয় বজরং দলের লোকজন তাদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে ।মারধোরের পাশাপাশি মোটা অংকের টাকা দাবি করছে। যেখানে তারা কাজ করছেন সেখানে কাজে ঢুকতে দিচ্ছে না। তাদের অপরাধ তারা বাংলায় কথা বলেন। সন্ধ্যা হলেই জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়া হত। জামা কাপড় খুলে বেধরক মারধরের পাশাপাশি মোটা অংকের টাকা দাবী করতে বলে অভিযোগ। তাই আতঙ্কেই প্রায় সবকিছুই ছেড়ে পালিয়ে এসেছেন তারা। শুধু জরি বুদ্ধিন নয় আরো এরকম প্রচুর শ্রমিক রয়েছেন যাদের উপর অকত্ব অত্যাচার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।