নিজস্ব সংবাদদাতা,কোচবিহার:ভারত বাংলাদেশের সীমানা এলাকায় ঝামেলা যেন পিছু ছাড়ছে না সীমানার বাসিন্দাদের মধ্যে। গতকাল মালদহে বিজিবি ও বিএসএফের এর মধ্যেও একপ্রকার ঝামেলা সৃষ্টি হয়। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো সীমানা এলাকায় ঝামেলার সৃষ্টি। মালদহের পর এবার শিরোনামে কোচবিহার। কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ ৩ বিঘা করিডর এলাকার ভারত বাংলাদেশ সীমানা এলাকায় বিজিবি র সাথে ভারতের কিছু সীমানার বাসিন্দাদের মধ্যে শুরু হয় ঝামেলা। এক প্রকার তর্কাতর্কি শুরু হয়।
ঝামেলার মূল সৃষ্টি পাত, আজ সকালে ০ ল্যান্ডে ভারতীয় সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা কাটা তারের বেড়া দিচ্ছিল।মূলত তাদের অভিযোগ,
প্রথমত,উক্ত এলাকায় খোলা সীমান্ত থাকার কারণে পাচার চক্র সংশ্লিষ্ট এলাকায় চরম পরিণামে চলে।
দ্বিতীয়ত,যেহেতু এই সময়টি মূলত চাষ বাসের মরশুম,সেক্ষত্রে ওই এলাকায় বিভিন্ন চাষাবাদ করা হয়েছে।তাদের আরও অভিযোগ বাংলাদেশীরা ওই এলাকায় তাদের গরু ছাগল অনায়াসে সেখানে ছেড়ে দেয়.যার ফলে তাদের জমির ফসল নষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
স্বভাবতই, আজ সকালে এই সমস্যার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা আজ সকালে সেখানে বেড়া দিতে গেলে বিজিবি সীমানা বাহিনীর বাধা দেয়.যার ফলে বিজিবি ও ভারতের সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়.তবে এলাকার ভারতীয় সীমান্তের বাসিন্দারা বাধা উপেক্ষা করে কাজ চালিয়ে যান।
ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় ওই এলাকায়।
যদিও পরবর্তীতে বিএসএফ গ্রামবাসীদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসলে বিজিবি পিছু হটে.তবে বর্তমানে পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণে। তবে ঘটনা ঘিরে আজ সন্ধ্যায় একটি প্রশাসনিক বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে বলেসূত্র মারফত জানা গেছে।
সীমান্ত এলাকার গ্রামবাসীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই উন্মুক্ত এই ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত। এর ফলে পাচার চক্র সক্রিয় বহুদিন থেকেই। একারণে প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় সংশ্লিষ্ট এই সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের। শুধু তাই-ই নয়, উন্মুক্ত এই সীমান্ত এলাকায় চাষের জমিতে বিভিন্ন চাষাবাদ করা হলে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে গৃহপালিত পশুরা এসে প্রতিনিয়ত নষ্ট করে এই ফসল। এই সমস্ত সমস্যা সুরাহার উদ্দেশ্যেই এই জিরো ল্যান্ডে তারা কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে। কিন্তু এদিন সকাল থেকে এই বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করলেই তাদেরকে বাঁধা দেয় বিজিবি এবং সীমান্তবর্তী বাংলাদেশী মানুষেরা। এরপরই তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়ে উভয়পক্ষ। পরবর্তীতে বিএসএফের উপস্থিতিতে অনেকাংশে এই কাঁটাতারের বেড়া দিতে সক্ষম হন তারা।