বিধানসভা ভোটের আগে দলকে ঢেলে সাজাতে জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক ও অঞ্চল স্তরে সাংগঠনিক রদ বদল করা হয়েছে এরপরই যেন আলিপুরদুয়ার জেলা জুড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল চরম আকার ধারণ করেছে। ব্লকে ব্লকে চলছে গোষ্ঠীকন্দল মাদারিহাট থেকে কুমারগ্রাম, আলিপুরদুয়ার দুই নম্বর ব্লক থেকে আলিপুরদুয়ার এক নম্বর ব্লক প্রায় সব জায়গাতেই গোষ্ঠী কোন্দল প্রকট হয়েছে। এর জেরে শুরু হয়েছে গণ পদত্যাগ। ইতিমধ্যেই কুমারগ্রাম ব্লকে ভলকা ১ নম্বর অঞ্চলের প্রায় পনেরো জন বুথ সভাপতি সহ অঞ্চল চেয়ারম্যান পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন ব্লক সভাপতির কাছে ব্লক সভাপতি পদত্যাগ গ্রহণ করেছে এর পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার দুই ব্লকেও দলের ৯ জন পদাধিকারী বিভিন্ন পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।আর জেলা জুড়ে এই গোষ্ঠীকোন্দল শুরু হওয়ায় অস্বস্তিতে দল। আলিপুরদুয়ার জেলার দুই নম্বর ব্লকে তৃণমূলের আদি ও নব্যর মধ্যে গোষ্ঠীকোন্দল প্রকট আকার নিয়েছে। জানা গেছে, আলিপুরদুয়ার ২ নং ব্লক কমিটির বিভিন্ন পদ থেকে গন হারে ইস্তাফা দেওয়ার হিড়িক পড়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ব্লক কমিটির সহ সভাপতি, সম্পাদক, অঞ্চল কমিটি চেয়ারম্যান সহ একাধিক পদ থেকে মোট নয় জন ইস্তফা দিয়েছেন। তারা সবাই ইস্তফাপত্র ব্লক সভাপতির কাছে পাঠিয়েছেন।

শুক্রবার আলিপুরদুয়ারের মহাকালগুড়িতে তৃণমূল নেতা দেবজিৎ সরকার জানান, আমরা মোট নয়জন ইস্তফা দিয়েছি। আমি নিজে ব্লক কমিটি সহসভাপতি ছিলাম। তিনি জানান বিভিন্ন অঞ্চলে যোগ্য নেতৃত্ব থাকা সত্তেও এমন লোকদের অঞ্চল সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যাদের জন্য আগামী দিনে দলের ফলাফল ভালো হবেনা। এজন্য আমরা ইস্তফা দিয়েছি পদ থেকে। কিন্ত দলের কর্মী হিসেবে আছি।
এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা কাজল দত্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, দলের ভেতরে বিভিন্ন গ্ৰুপবাজি চলছে তার প্রতিবাদে আমরা পদত্যাগ করছি।আমরাই দল টাকে তুলে এনেছি।কিন্তু দলে আমাদের সম্মান নেই।পুরানো সভাপতি কলকাঠি নাড়ছেন নতুন সভাপতি কে দিয়ে।আর আই প্যাক নিয়ে ও তিনি বিস্তর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।এদিকে আলিপুরদুয়ার ২ নম্বর ব্লকে সব পদ উপজাতিদের দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে দলের মধ্যে।
এই বিষয়ে জেলা চেয়ারম্যান গঙ্গা প্রসাদ শর্মা জানান, বিষয়টি সাংগঠনিক আমরা দলের মধ্যে কথা বলে নেবো। অপর দিকে তৃণমূলের এই গোষ্ঠী কোন্দল কে কটাক্ষ করে আলিপুরদুয়ারের সাংসদ মনোজ টিজ্ঞা বলেন, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। আসলে আমাদের পাড়া আমাদের সমাধানের জন্য যে রোজগারের রাস্তা তৈরী হয়েছিল তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে যাদের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে তাঁদের। তাই এই পদত্যাগের হিড়িক।তবে ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৈরী হওয়া এই গোষ্ঠী কোন্দলে আখেরে লাভ হবে বিজেপিরই এমনটাই অভিমত রাজনৈতিক মহলের।