কোচবিহার তুফানগঞ্জ বলরামপুরে দুটি অনুষ্ঠান ঘিরে রাজনৈতিক তরজা চরমে ।মঙ্গলবার বলরামপুরের একটি ক্লাবের আমন্ত্রণে পৌষ মেলার উদ্বোধনে জেলা তৃনমূলের সভাপতি সহ একঝাঁক নেতৃত্ব রা উপস্থিত হলেও পাশেই নায়েব আলী টেপুকে নিয়ে রবি পার্থর দুদিন ব্যাপী ভাওয়াইয়া অনুষ্ঠান কে এড়িয়ে গেলেন তারা। যদিও জেলা সভাপতি জানান আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কাকা ভাইপো একসাথে হওয়ায় এমনিতেই গত কয়েক দিন ধরে জেলা তৃনমূলের রাজনীতিতে দুটি শিবির তৈরী হয়েছে। যা নিয়ে প্রকাশ্যে গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ ওঠে। যার প্রভাব বলরাম পুরের অনুষ্ঠানে প্রস্ফুটিত।সোমবার বলরাম পুরের বাজার এলাকায় ভাওয়াইয়া সম্রাট নায়েব আলী টেপুর ১১৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে দুই দিন ব্যাপী ভাওয়াইয়া অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নায়েব আলী টেপুর স্মরণ সমিতির সভাপতি রবীন্দ্র নাথ ঘোষ।সঙ্গে ছিলেন NBSTC র চেয়ারম্যান তথা নায়েব আলী টেপু স্মরণ সমিতির সম্পাদক পার্থ প্রতিম রায়।সেখানে জেলা সভাপতি উপস্থিত ছিলেন না এমন কি বলরাম পুর ১ GP র প্রধান বিক্রম অধিকারী, তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সভাপতি কুমার নীরেন্দ্র নারায়নও ছিলেন না। যদিও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে জানান জেলা সভাপতি।এই অনুষ্ঠান ঘিরে সাধারণ কর্মীদের মনে দ্বিধা শুরু হয়। জেলার সাথে সাথে বলরাম পুরেও দুটি শিবির তৈরী হয় শাসক দলের অন্দরে। জেলা রাজনীতিতে অভিজিতের উত্থানে পার্থ,রবি সহ অনেক পুরানো কর্মীরা কোন ঠাসা হয়ে পরেন বলে অভিযোগ।

যদিও লোকসভা নির্বাচনে জেলার প্রথম সারি র নেতারা একসাথে চলার বার্তা দিয়ে নিশীতের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে ছিলেন। জেলা সভাপতি অভিজিতের নেতৃত্বে ফলও পেয়েছিলেন হাতে নাতে। কিন্তু ফের কোন ঠাসা হয়ে পরেন রবি।ইতিমধ্যে বাবা মারা যায় পার্থ প্রতীম রায়ের। সেই সময় কাকা ভাইপোর দ্বন্দ্ব ভুলে পার্থর পাশে দাঁড়ান রবি। পোর খাওয়া রাজনীতি বিদ রবি ঘোষ, কোচ বিহারের রাজনীতি যার হাতের তালুতে সেই তিনি পুরোনো অস্ত্র শান দিতে কাকা ভাইপো একসাথে নায়েব আলী টেপুর অনুষ্ঠান কে বেছে নেন। আর এই অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের পুরনো বসে পরা তৃনমূল কর্মীরা কাকা ভাইপোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে কাকা ভাইপোর হাত কে আরও শক্ত করে তুলেছে বলে রাজনীতি সূত্রে খবর।এই বিষয়ে অভিজিৎ দে কে জিজ্ঞাসা করা হলে জানান আমন্ত্রণ জানানো হয়নি তাই আসেন নি । সংবাদ মাধ্যমের সামনে রবি পার্থর অনুষ্ঠানে অভিজিৎ দে ভৌমিক আসবেন বললেও পরে এড়িয়ে জান।

যদিও এই বিষয়ে পার্থ বাবু জানান কার্ড ছাপিয়ে কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সোস্যাল মিডিয়া এবং মুখে মুখেই শুনে সংস্কৃতি প্রেমী মানুষ রা আসছেন।অনুষ্ঠানের এতো কাছে এসেও কেনো তিনি আসলেন না এটা তিনিই ভালো জানেন।তবে আসলে ভালো হতো।তবে নেতাদের এই গা জোয়ারি মনে ভাবে সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ কর্মীরা।https://fb.watch/wQC02qMuD3/