DIGITAL BANGLA NEWS

আপনার এলাকার খবর

অবৈধ ভাবে বালি-পাথর উত্তোলন ও বনাঞ্চলের জমি ব্যবহার, নাম জড়ালো তৃণমূলের তুফানগঞ্জ ২নং ব্লক সহ- সভাপতির

বনদপ্তরের সংরক্ষিত এলাকাতে বালি-পাথরের স্তূপ বানিয়ে রমরমিয়ে চলছে অবৈধ কারবার। রায়ডাক নদী থেকে বালি-পাথর তুলে তা মজুত করে রাখা হচ্ছে বনাঞ্চলের ভেতরে। অভিযোগের তীর তৃণমূলের ব্লক সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে। অভিযোগ তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের রামপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রায়ডাক নদীর মধুরভাষা বেড থেকে বালি-পাথর তুলে জমায়েত করা হচ্ছে আটিয়া মোচড় বনাঞ্চলের মধুভাষা খয়ার বাগানে। এখন প্রশ্ন? যেখানে বিনা অনুমতিতে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে প্রবেশ নিষেধ , সেখানে বনদপ্তরের জমিকে ব্যবহার করে বালু পাথরের কারবার কিভাবে চালাতে পারে শাসক দলের নেতারা। এ নিয়ে শুরু হয়েছে জোর তরজা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের তুফানগঞ্জ ২ ব্লক সহ-সভাপতি নিরঞ্জন সরকারের মদতেই এই অবৈধ কারবার দীর্ঘ কয়েক মাস ধরেই চলছে। বাসিন্দারা এনিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েও কোন সুরাহা মিলেনি। এতে বন্যপ্রাণী থেকে শুরু করে স্কুল পড়ুয়া ও স্থানীয় বাসিন্দাদের যাতায়াত করতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।


প্রসঙ্গত, রামপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মধুরভাষা এলাকায় রায়ঢাক নদী থেকে বালু পাথর রাতের অন্ধকারে গ্রামীণ রাস্তা ধরে রাতভর চলছে বালি ও পাথর বোঝাই ডাম্পার। বনাঞ্চলের রাস্তা ব্যবহার করে প্রতিদিন প্রায়২০০-২৫০ ডাম্পার ও ট্রাক বনাঞ্চলের মধুরভাসার খয়ার বাগান এলাকা থেকে ওভারলোড নিয়ে রাতের অন্ধকারে চলাচল করছে যার জেরে ক্ষতি হচ্ছে বনাঞ্চলের রাস্তা ও বচামারি কামাখ্যাগুড়ি যাওয়ার রাজ্য সড়ক। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এই কারবার চলছে বলে অভিযোগ।
এ ব্যাপারে কোচবিহার জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি উৎপল দাস বলেন, ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি নিরঞ্জন সরকারের হাত দিয়েই মোটা অংকের টাকা নবান্নের কাছে পৌঁছায়। সেই কারণেই বনদপ্তরের সংরক্ষিত এলাকাকে বাণিজ্যিক জায়গা পরিণত করেছে নিরঞ্জন সরকার। দীর্ঘদিন ধরেই রায়ডাক নদী থেকে অবৈধভাবে বালুপাথর তুলে সেগুলিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কোচবিহার,আলিপুরদুয়ার থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায়। তৃণমূল নেতার মদত থাকার কারনেই অভিযান চালানোর সাহস করেনি পুলিশ ও বনদপ্তর। আর এর খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বস্তি এলাকার বাসিন্দাদের।
তবে তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা নিরঞ্জন সরকার। তার বক্তব্য যারা এ সমস্ত কাজ করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক প্রশাসন।
বিষয়টি জানা নেই খোঁজখবর নিয়ে, যদি বনবিভাগের কোন জমি ব্যবহার করা হয়ে থাকে তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান গণ বিভাগের কোচবিহারের ডিএফও অসিতাভ চট্টোপাধ্যায়।

শেয়ার করুন...

Facebook
Twitter
WhatsApp
Telegram

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Live TV

play-sharp-fill

নতুন খবর আবার পড়ুন

কেন্দ্র ছাড় দিলে কালকেই প্লেন নামবে বালুরঘাট বিমানবন্দরে, দাবি ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের

দক্ষিণ দিনাজপুরবাসীর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্বপ্ন বালুরঘাট বিমানবন্দর চালু হওয়া কেন্দ্র

Read More »