নিজস্ব সংবাদদাতা:অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। মেয়ের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার স্বামী। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বেলাকোবার সাঙ্গী পাড়ায়। মৃতার পরিবারের দাবি, প্রায় বছর ছয়েক আগে জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের চাউলহাটির তোসর পাড়ার শান্তনা রায়ের সাথে বিয়ে হয় বেলাকোবার সাঙ্গী পাড়ার হরেকৃষ্ণ রায়ের সাথে। বিয়ের পর থেকেই শান্তনার ওপর নির্যাতন চালাতেন স্বামী হরেকৃষ্ণ বলে অভিযোগ। গতরাতে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়। মেয়েকে(২৮) হত্যা করে ঘরের মধ্যে তাঁর স্বামী ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে দেয় বলে দাবি। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছান মৃতার বাবার বাড়ির সদস্যরা। খবর পেয়ে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ মৃত দেহ উদ্ধার করে। মৃতার বাবা বীরেন্দ্রনাথ রায় বলেন, আমার মেয়েকে আমার জামাই হত্যা করেছে। এর আগেও তাকে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল। মেয়ে ৭ মাসের গর্ভবতী ছিল। ওদের ৫ বছরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। আমার জামাইয়ের আমি কঠোরতম শাস্তি চাচ্ছি। এই কারণে আজ জলপাইগুড়ি মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি বলে তিনি জানান। মৃতার আত্মীয় হিলিপ কুমার রায় বলেন, জামাইয়ের চাল চলন একেবারেই ঠিক ছিল না। অন্য মহিলাদের সাথেও তার সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের মেয়ে এইসব ঘটনার প্রতিবাদ করাতেই তাকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি যাতে দোষীর উপযুক্ত শাস্তি হয়। উল্লেখ্য, অভিযোগ পাওয়া মাত্রই আজ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে মহিলা থানার পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে অভিযুক্ত কোনো মন্তব্য করতে চান নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
