সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে মানুষের। কিন্তু জলপাইগুড়ির সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার সিপিআইএমের জলপাইগুড়ি সদর পূর্ব এরিয়া কমিটি আন্দোলনে নামল। এদিন জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দফতরে বাইরে বিক্ষোভ দেখালেন দলের নেতা কর্মীরা।
এদিন জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবার মানোন্নয়নের দাবিতে হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন সমস্যা ও ঘাটতি তুলে ধরে মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট-cum-ভাইস-প্রিন্সিপালের কাছে লিখিত দাবিপত্র প্রদান করা হয় সিপিআইএম – এর সদর পূর্ব এরিয়া কমিটির পক্ষ থেকে।

বিভিন্ন জরুরি পরিষেবা মিলছে না হাসপাতালে, বাধ্য হয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে বেসরকারি হাসপাতলে চিকিৎসা করাতে হচ্ছে সাধারণ ও গরিব পরিবারকে। কার্ডিওলজি, হেমাটোলজি, নিউরোলজি সহ একাধিক বিভাগ জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চালু হয়নি। বাধ্য হয়ে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের বাইরের শহরে যেতে হচ্ছে। হাসপাতালে জীবনরক্ষাকারী জরুরি স্যালাইন, সাপের কামড়ের আন্টিভেনম, কুকুরের কাপড়ের প্রতিষেধক পাওয়া যায় না। প্রায় দিনই রোগীদের অন্য হাসপাতালে রেফার করা হচ্ছে, সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চিকিৎসক দেখানোর পর সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে সদর হাসপাতালে এক্স-রে করার জন্য পাঠানো হচ্ছে। দ্রুত এই পরিষেবা সহ মোট দশ দফা দাবি তোমার পাশাপাশি সব পরিষেবা স্বাভাবিক ও উন্নত করার দাবি তোলা হয়। এ ছাড়া এম আর আই চালু, সিসিইউ ইউনিটের শয্যা সংখ্যা বাড়ানো, প্যাথলজি বিভাগে সহ পরীক্ষা নিরীক্ষা করার দাবি তোলা হয়েছে। সিপিএমের সদর পূর্ব এরিয়া কমিটির সম্পাদক দেবরাজ বর্মণ বলেন, “সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা তলানিতে। পরিষেবা বলে কিছুই নেই। এই আমরা মোট দশ দফা দাবি তুলে ধরেছি। সমস্যা না মিটলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে।”