মাথাভাঙ্গা ২ নং ব্লকের পারডুবি বাজার এলাকায় মদ্যপ ধরতে এসে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল পুলিশকে।পুলিশের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা।স্থানীয়দের অভিযোগ এদিন এক মদ বিক্রেতা সহ একজনকে মদ্যপ সন্দেহে পুলিশ আটক করে।অথচ ওই মদ বিক্রেতা পুলিশের গাড়ি থেকে নেমে বেরিয়ে যায়।আর তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বাসিন্দারা একে একে পুলিশের গাড়ি ঘিরে ফেলে।বেশ কিছুক্ষণ চলে বিক্ষোভ।ঘটনায় শোরগোল পরে যায় এলাকায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ শুধু বেছে বেছে মদ্যপদের পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়।অথচ মদ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোন ব্যাবস্থা নেয় না বলে অভিযোগ ।এদিন পুলিশ এক মদ বিক্রেতাকে আটক করলেও কেন তাকে ছেড়ে দেওয়া হল সেটার কারণ জানতে চেয়েই স্থানীয়রা পুলিশের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন।মুহুর্তের মধ্যে পারডুবি বাজারে মাথাভাঙ্গা ফালাকাটা রাজ্য সড়কের উপর রাস্তা বেশকিছুক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে স্থানীয়দের জমায়েতে।বিক্ষোভ বেশকিছুক্ষণ চলার পর পুলিশকে এক প্রকার চাপের মুখে ফেলে স্থানীয়রা পুলিশ কে সঙ্গে নিয়ে এলাকার বিভিন্ন অবৈধ মদের ঠেকে হানা দিয়ে বেশকিছু অবৈধ মদ নষ্ট করে দেয় পুলিশ ও স্থানীয়রা।এমনকি অবৈধ মদ কারাবারিদের বেশকিছু বাড়িতেও হানা দিয়ে অবৈধ মদ নষ্ট করে দেয় পুলিশ।ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ঘোকসাডাঙ্গা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।অবৈধ মদের কারবারিদের সাথে পুলিশের একটি গোপন যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের একাংশের, আর তা নাহলে এসব কি করে চলছে? তাই অবৈধ মদের কারবারিরা বহাল তবিয়তে এই কারবার দিনের পর দিন চালিয়ে যাচ্ছে।এমনকি নেতা মাতব্বরদের মদতও আছে বলে অভিযোগ।নাহলে কি করে বহাল তবিয়তে পুলিশ প্রশাসনের চোখকে ফাকি দিয়ে পুলিশের নাকের ডগায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে এলাকার নানা স্থানে বেশ কয়েকটি অবৈধ মদের ঠেক।এর আগেও একাধিকবার স্থানীয়রা সহ যুবসমাজ অবৈধ মদের কারবার বন্ধে অবৈধ মদের ঠেকে হানা দিয়ে নিজেরাই অভিযান চালিয়ে প্রতিবাদ মিছিলে গর্জে উঠেছিল।তাদের আন্দোলনের জের কিছুদিন নামমাত্র তা বন্ধ থাকে এবং পুলিশের নজরদারি ও ধরপাকড়ও চলে কিছুদিন।তারপর যে কে সেই অবস্থা।কিছুদিন আগেও এক মদ্যপকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময়ে পুলিশের সাথে এক মদ্যপের অভব্য আচরণ,ধস্তাধস্তি ও বচসা বেধেছিল বলে পুলিশ ও স্থানীয়দের একটি সূত্রে জানাগেছে।শুধু তাই নয় কয়েক বছর আগেও মদ্যপ তুলতে এসে পুলিশের গাড়ি আটক করে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল পুলিশকে।প্রশ্ন উঠছে দিনের পর দিন মদ্যপ ও অবৈধ মদের ঠেকের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।কখনও দিনে দুপুরে আবার কখনও বা রাতের অন্ধকারে বাজার চত্বরের নানা স্থানে মদের ঠেক বা মদের আসর বসে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ।স্থানীয় বাসিন্দা ঋষিকেশ রায় জানান এদিন এক মদ বিক্রেতাকে প্রথমে পুলিশ আটক করে ও পরে অপর একজনকেও মদ্যপ সন্দেহে গাড়িতে তোলা শুরু করে। কিন্তু ওই মদ বিক্রেতা পুলিশের গাড়ি থেকে নেমে বেরিয়ে যায়।শুধু মদ্যপদের নয় পুলিশ অবৈধ মদ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধেও ব্যাবস্থাগ্রহণ করুক এটাও চাই আমরা।আর তাই এদিন পুলিশের গাড়ি আটকে রাখা হয় কিছুক্ষণ।পাশাপাশি পুলিশ কে সঙ্গে নিয়ে অবৈধ মদের ঠেকে হানা দিয়ে মদ নষ্ট করে দেওয়া হয়।অবৈধ মদের ঠেক বন্ধে তাদের আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।পুলিশের একাংশের যোগসাজশেই এসব অবৈধ মদের ঠেক রমরমিয়ে চলছে বলে দাবি করেন স্থানীয়দের একাংশরা।পুলিশ জানিয়েছে অবৈধ মদের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চলছে,আগামীদিনেও অভিযান চলবে।