শিলিগুড়ি পুরনিগমের বোর্ড মিটিংয়ে তুমুল উত্তেজনা। সভার মধ্যেই মেয়র পারিষদ তথা ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর দিলীপ বর্মণকে সভাকক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রের খবর, একটি পুরনো বিল্ডিং ভাঙা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন তুলতেই চেয়ারম্যান, ডেপুটি মেয়র ও অন্যান্য তৃণমূল কাউন্সিলরদের সঙ্গে দিলীপ বর্মণের তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে সভার মাঝেই তাঁকে বলা হয়— “যান, বেরিয়ে যান!” এবং তাঁকে সভাকক্ষ ত্যাগ করতে বলা হয়।
সভা থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ বর্মণ ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন, “আমি ২৬ হাজার মানুষের ভোটে জিতে এসেছি। আমি যদি চুপ করে যাই, তাহলে মানুষকে কী বলব? প্রয়োজনে সেই ২৬ হাজার ভোটারকে নিয়ে এসে শিলিগুড়ি পুরনিগম ঘেরাও করব।”

ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে অনিচ্ছুক শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। তিনি সংক্ষেপে জানান, “এই বিষয়ে উপযুক্ত তদন্ত হলে দলে জানানো হবে। দল যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই মান্য হবে। সভাকক্ষে যা হয়েছে, তা পুরোটাই চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত। মেয়র বা ডেপুটি মেয়রের কোনও ভূমিকা নেই।”
পুরনিগমের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরব হয়েছে বিরোধীরা। বিজেপি কাউন্সিলর অমিত জৈন বলেন, “এতদিন বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হত, এখন শাসক দলের কাউন্সিলরদেরও কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। কারণ সত্যিটা বেরিয়ে যাওয়ার ভয় পাচ্ছে পুরনিগম।”
বামফ্রন্ট কাউন্সিলর নুরুল ইসলামও বলেন, “পুরনিগমে সর্বত্র অনিয়ম চলছে। আমরা বললে কণ্ঠরোধ করা হয়। আজ প্রমাণিত হল, শাসকদলের মধ্যেও যারাই প্রশ্ন তুলছে, তাদেরও মুখ বন্ধ করতে চায় প্রশাসন।”
শাসকদলের অন্দরেই প্রশ্ন ও দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসায় নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে শহর রাজনীতিতে। শাসন ও স্বচ্ছতার প্রশ্নে তৃণমূলের মধ্যে বিরোধই এখন আলোচনার কেন্দ্রে।