বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক ঘিরে উত্তপ্ত কোচবিহার বক্সিরহাট! আক্রান্ত পুলিশকর্মী।
দীর্ঘ কয়েক মাস ধরেই বন্ধ ছিল বক্সিরহাট বাজারে থাকা বিজেপির দলীয় কার্যালয়। শনিবার বিজেপির ৩ নং মন্ডলের পক্ষ থেকে সাংগঠনিক আলোচনা সভার ডাকদেয় বিজেপি । সেইমতো বক্সিরহাট বাজারে থাকা দলীয় কার্যালয়ের সামনে জমায়েত হন বিজেপির দলীয় কর্মী সমর্থকরা। বিজেপির সাংগঠনিক আলোচনা চলাকালীন আচমকা তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বিজেপির দলীয় কার্যালয়ের উপর হামলা চালানোর পাশাপাশি বাইক ও চেয়ার ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। বিজেপির কার্যালয়ে আক্রমণ করার ঘটনায় আক্রান্ত হন প্রশাসনের এক আধিকারিকও। সভাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বক্সিরহাট বাজার চত্বর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বক্সিরহাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ এসে পরিস্থিতিস নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ব্যাপারে তুফানগঞ্জ ৯ নং বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়িকা মালতি রাভা রায় বলেন, সাংগঠনিক আলোচনা সভাকে ঘিরে তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনীরা বিজেপি কার্যালয়ে ভাঙচুরের পাশাপাশি বাইক ভাঙচুর এবং কার্যালয়ের সামনে বোম নিক্ষেপ থেকে শুরু করে পুলিশ কর্মীকে মারধর করে।এই হল পশ্চিমবাংলার অবস্থা। যদিও এই সরকার আর বেশি দিন নেই এই ঘটনায় আজকে এক পুলিশ আধিকারিকেও মারধর করে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী যেখানে পুলিশ তাদের নিরাপত্তা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ কিভাবে এই সরকারের সাথে থাকবে আগামী দিনে বিজেপি পশ্চিমবাংলায় এলে সাধারণ মানুষ নিশ্চিত ভাবে জীবন যাপন করতে পারবেন বলে জানান তিনি।
যদিও বিজেপির তোলা অভিযোগ পুরোটাই অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এ ব্যাপারে ভানুকুমারী-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বলেন,এটা পুরোটাই ভিত্তিহীন অভিযোগ । বিজেপির তোলা অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন । সাধারণ মানুষের ১০০ দিনের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। সেই টাকা সাধারণ মানুষ কে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বিজেপি বিধায়িকাকে দেখে স্লোগান তুলেছে সাধারণ মানুষ। তৃণমূল কংগ্রেস নোংরা রাজনীতি করে না। বিজেপি দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস জড়িত নয় এটা পুরোটাই ভিত্তিহীন অভিযোগ।