১৪ দিন ধরে ঘরছাড়া। বন্ধ ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা ও স্কুল।প্রাণনাশের ভয়ে পরিবার নিয়ে লুকিয়ে বেড়াতে হচ্ছে।এই পরিস্থিতিতে এবারে জেলা প্রশাসন এবং পুলিশের কাছে স্বেচ্ছায় স্ব পরিবারে মৃত্যু বরণের অনুমতি চাইল মালদহের কালিয়াচকের কাপড় ব্যবসায়ী। মালদার কালিয়াচকের জালাল পুরের বাসিন্দা ওই কাপড় ব্যবসায়ী প্রশাসন এবং পুলিশের কাছে প্রার্থনা করে জানিয়েছে, বারবার হুমকি ও নির্যাতনের ফলে আমি এবং আমার পরিবার গভীর আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি আমরা।

পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করছে না। তাই আমরা বাধ্য হয়ে স্বেচ্ছায় স্বপরিবারে মৃত্যুবরনের অনুমতি প্রার্থনা করছি। মালদহের কালিয়াচকের জালালপুর এলাকার বাসিন্দা ওই কাপড় ব্যবসায়ীর নাম রহিম বিশ্বাস। তার অভিযোগ গত ১৪ দিন আগে তাকে রাস্তা দিয়ে মারতে মারতে তুলে নিয়ে গিয়ে কাঁঠাল গাছে বেঁধে মারধর করা হয়। কারণ দুষ্কৃতীদের তোলা দেওয়া হয়নি বলে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জহুরুল খান সহ বেশ কয়েকজনের নামে লিখিত অভিযোগ কালিয়াচক থানায় করা হলেও পুলিশ মাত্র দুজনকে গ্রেফতার করেছে বাকিরা এখনো পলাতক করেছে। এই সমস্ত দুষ্কৃতীরা প্রতিনিয়ত তাকে এবং তার পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ১৪ দিন ধরে এক ছেলে এবং দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে ঘরছাড়া এই ব্যবসায়ী। তাই প্রশাসন এবং পুলিশের কাছে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণের অনুমতি চেয়ে প্রার্থনা করেছেন তিনি। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনীতি।
বিজেপির দক্ষিণ মালদার বিজেপির সভাপতি অজয় গাঙ্গুলী অভিযোগ করে বলেন, অবশেষে স্বেচ্ছায় মৃত্যুর আবেদন জানালো ওই কাপড় ব্যবসায়ী। একজন সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারছে না পুলিশ। এই সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর আমার মনে হয় আর এক সেকেন্ডও থাকার দরকার নেই অবিলম্বে এই ঘটনাকে দেখে পদত্যাগ করা উচিত।
অন্যদিকে এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি শুভময় বসু জানান, পুলিশ তো ব্যবস্থা নিয়েছে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বিষয়টি কেউ রাজনৈতিকভাবে খেলার চেষ্টা করছে। আমরা মনে করি রাজনৈতিক এই খেলা বন্ধ হোক। আরো কোন দুষ্কৃতি অভিযুক্ত থাকলে পুলিশ গ্রেপ্তার করুক তাদের।