শুভেন্দু অধিকারী যে হিন্দুর কনসেপ্ট দিচ্ছে,তা অচল পয়সায় পরিণত হয়েছে। এরা পচা হিন্দু। এভাবে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। হিন্দুদের মনে আঘাত করা হচ্ছে, সনাতন ধর্মে এটা বলেনা। বুধবার কোচবিহারে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এভাবেই রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করলেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।

এদিন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, শুভেন্দু অধিকারী অনেকটাই দায়িত্বহীন হয়ে পড়ছেন। তার প্রমাণ বিধানসভায় পাওয়া যাচ্ছে। বিজেপি মেম্বাররা বিধানসভায় অশুভ আচরণ করেন। বিধানসভার অভ্যন্তরে বসার ব্রেঞ্চ, মাইক ভেঙে দিয়েছেন তারা। মার্শাল করে তাদের সরানো হলেও, সেখানেও তারা মারপিট করেছে। যারা বিধানসভা কে কুরুক্ষেত্র তৈরি করেছেন। তাদের কাছে কিছুই আশা করা যায় না। এরা হিন্দু হিন্দু বলে হিন্দুদের মনকে বিষিয়ে দিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হিন্দু হিন্দু বলেননি, কিন্তু লোকে জানেন তিনি হিন্দু। স্বামী বিবেকানন্দ হিন্দু হিন্দু বলেননি, তিনি একটি আইডিয়া পেশ করেছেন তাতে তিনি বলেছেন, অন্য ধর্মের প্রতি হিংসা বোধ চলবে না আমাদের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের। সকল ধর্মের প্রতি সহানুভূতি থাকবে। কোচবিহারের রাজাও হিন্দু ছিলেন, তিনিও অন্য সম্প্রদায়ের জন্য অনেক কিছু করেছেন।
শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, উনি কি গীতা পড়েছেন? রামায়ণ পড়েছেন? মহাভারত পড়েছেন? উনি কিছুই পড়েন নি। যে আইডিয়াটা প্রধানমন্ত্রী এবং আরএসএস দিচ্ছে ওই হিন্দুত্বের কথা শুভেন্দু অধিকারী বলছেন। গত লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারে ভোট কম পেয়েছে বিজেপি, আসলে হিন্দু হিন্দু করেছেন বলেই ভোট কম পেয়েছেন। হার স্বীকার করেছেন। আর হিন্দু হিন্দু বলে কিছু হবে না সামনের বিধানসভায় নীল হয়ে যাবেন।