বৃষ্টি থেমেছে কিন্তু উদ্বেগ কাটছে না বাসিন্দাদের। চিন্তার কারণ ভাঙ্গন! নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি এমনকি নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে বসতভিটে টুকুও ইতিমধ্যেই অনেকে বসত ভিটে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। এ ছবি তুফানগঞ্জ দুই ব্লকের ভানুকুমারী-১গ্রাম পঞ্চায়েতের ছিটবড়লাউ কুঠি এলাকার। বর্ষার শুরুতেই প্রবল বৃষ্টিতে ভেসেছে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। পাহাড়ে একটানা বৃষ্টি, এতেই জল বেড়েছে পাহাড়ি নদী সংকোশে জল কমতেই ফের নতুন করে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের ভানুকুমারী-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ছিটবড়ো লাউকুঠি এলাকায়।

ভানুকুমারী-১গ্রাম পঞ্চায়েত ,ব্লক এমনকি জেলা থেকেও গোটা ছিটবড়ো লাউ কুঠিকে কার্যত বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে সংকোশ নদী। নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে গ্রামবাসীদের দীর্ঘ আন্দোলনের পরেও এখনো এলাকায় বাঁধ নির্মাণ হয়নি। ফলে পাহাড়ে একটানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি নদী সংকোশে জলস্তর বেড়েছে। জল কমতেই নতুন করে ১২০০ মিটার ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে এলাকায়। ফলে বাঁচার তাগিদে স্থায়ী বাঁধের দাবিতে ফ্লাকগার্ড হাতে ভিক্ষোপ দেখান এলাকার বাসিন্দারা। সুরাহা না হলে ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

এই এলাকায় সংকোষ নদী ভাঙ্গন সমস্যা দীর্ঘদিনের অতীতে বহু কৃষি জমি সহ বসদ বাড়ি তলিয়ে গিয়েছে নদী গর্ভে। সংকোশ নদীর ক্রমশ যেভাবে কৃষি জমি গ্রাস করছে তাতে শেষ সম্বোল টুকুও নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ নদী ভাঙ্গন সমস্যা নিয়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ভিডিও অফিস এমন কি শেচ দপ্তরে বারংবার অভিযোগ জানিয়েও মেলেনি সমাধান। দিন কয়েক আগে শেচ দপ্তরের আধিকারিকরা এসে এলাকায় ঘুরে গেলেও কাজ শুরু না হওয়ায় আতঙ্কে বাসিন্দারা।
যদিও ভাঙ্গনরোধে দ্রুত সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন জেলা সেচ দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার মহ: বদিরুদ্দিন শেখ।
ছিট বড়লা কুঠি এলাকায় প্রায় চার হাজার লোকের বসবাস বর্ষা শুরুতেই ফের ১২০০ মিটার ভাঙন দেখা দেওয়ায় ভিটে মাটি হারানোর আশঙ্কায় রাতের ঘুম উড়েছে অসংখ্য কৃষিজীবী পরিবারের।
এই নিয়ে জেলা সেচ দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার মহ: বদিরুদ্দিন শেখ জানিয়েছে যেসব অসংরক্ষিত এলাকায় ভাঙ্গন শুরু হয়েছে সেখানে বাধ তৈরীর জন্য প্রকল্প জমা পড়েছে। অর্থ বরাদ্দ হলে সেই এলাকায় কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।