শিলিগুড়ির ঠাকুরনগর এলাকা বুধবার সকাল থেকে উত্তাল হয়ে উঠল মাফিয়া তাণ্ডব এবং তার প্রতিবাদে ডাকা বনধকে কেন্দ্র করে। মঙ্গলবার রাতে ঠাকুরনগরের ইস্টার্ন বাইপাস এলাকায় দুষ্কৃতীদের হামলার ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ হয়ে আজ সকাল থেকেই পথ অবরোধে সামিল হন। এলাকা জুড়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, জনজীবনে চরম প্রভাব পড়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে “মুখিয়া গ্রুপের”-এর দাদাগিরিতে অতিষ্ঠ তারা। বারবার পুলিশকে জানানো সত্ত্বেও প্রশাসন কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। মঙ্গলবার রাতে এক ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার পর থেকেই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। এদিন সকাল থেকে ঠাকুরনগর ও ভবেশ মোড় এলাকায় পথ অবরোধ শুরু করেন স্থানীয়রা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, মুখিয়া গ্রুপের সদস্যদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। ইস্টার্ন বাইপাস জুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভের কারণে যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে পড়ে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছান শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। তিনি ক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে কথা বলেন ও আশ্বাস দেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে এলাকাবাসীদের একাংশের বক্তব্য, “ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর প্রশাসনের ঘুম ভাঙে। পুলিশ ঠিক সময়ে পদক্ষেপ নিলে এই পরিস্থিতি হতো না।” পুলিশের ভূমিকাকে ঘিরে ব্যাপক প্রশ্ন উঠছে। বর্তমানে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখনও থমথমে। প্রশাসনের তরফে এখনও পর্যন্ত মুখিয়া গ্রুপের কারও গ্রেফতারের খবর মেলেনি।