বেশ কয়েকটি দক্ষিণী ছবিতে অভিনয়ের পর। বলিউডে কাজ করার পর এবার বাংলা ছবিতে অভিনয় কোচবিহার দক্ষিণ খাগরাবাড়ির মেয়ে সুরাইয়া পারভিনের। তথাগত মুখোপাধ্যায়ের “রাস” ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলা ছবিতে আত্মপ্রকাশ
করেছেন তিনি। মঙ্গলবার তার বাড়িতে গিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানালেন উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান পার্থ প্রতিম রায়। এছাড়াও তাকে শুভেচ্ছা জানান কৃষক খেত মজদুর নেতা খোকন মিয়া, মহিলার নেত্রী আলেনা ইয়াসমিন প্রমূখ।

কোচবিহারে মঞ্চে অভিনয় থেকে শুরু। তারপর বাংলা সাহিত্য নিয়ে শিলিগুড়িতে পড়াশোনা। এরপর কর্মসূত্রে চলে যান কার্সিয়াংয়ের বিখ্যাত ডাউহিল স্কুলে। কিন্তু মন ছিল সিনেমায়। তাই একদিন পাড়ি দেন হায়দরাবাদে। সুযোগটাও হঠাৎ এসে গিয়েছিল। তারপর একের পর এক তেলুগু ছবিতে অভিনয়।
জওয়ান-খ্যাত নয়নতারা এবং সম্প্রতি দুবাইতে অটোড্রোম রেসে তৃতীয় স্থানাধিকারী অভিনেতা অজিতের ছবিতে জুনিয়ার আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন সুরাইয়া। ২০২৩ সালে মুক্তি পায় তাঁর প্রথম হিন্দি ছবি। বিহারের নকশাল আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে নির্মিত হরর-থ্রিলার ঘরানার ছবি জঙ্গলমহল। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি কোচবিহারের এই মেয়েকে। ধীরে ধীরে সাফল্য আসছিল। কিন্তু তাঁর মন বরাবর পড়ে থাকত নিজভূমি বাংলায়। আর তাই ২০২৩ সালের শেষের দিকে চলে আসেন কলকাতায়।
কলকাতায় এসেই দেব অভিনীত টেক্কা, ফেলুদা সিরিজের ভূস্বর্গ ভয়ংকর এবং সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই ছবিতে সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে অ্যাসিস্ট করে ফেলেছেন সুরাইয়া।
সৃজিতকে অ্যাসিস্ট করতে করতেই হঠাৎ তথাগত’র রাস ছবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ চলে আসে। আর এর মাধ্যমেই সুরাইয়ার বাংলায় কাজ করার স্বপ্নটা পূরণ হলো।
রাস ছবিতে দেবলীনা কুমার, অনির্বাণ চক্রবর্তী, বিক্রম চট্টোপাধ্যায়, অনসূয়া মজুমদার, অর্ণ মুখোপাধ্যায়ের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে স্ক্রিন ভাগ করে নিতে পেরে আপ্লুত সুরাইয়া। সুরাইয়া বলেন, তিনি বাংলা ছবিতে অভিনয় করতে পেরে আপ্লুত। অনেকদিন ধরে তার ইচ্ছে ছিল এমন একটি বাংলা সুবিধা অভিনয় করতে যে ছবিটি পরিবারের সাথে দেখা যাবে। অবশেষে তিনি সেই সুযোগ পেয়েছেন। তিনি জানান কোচবিহারবাসী সব সময় তাকে আশীর্বাদ করেছেন, ভালোবাসা দিয়েছেন। আর এই আশীর্বাদ এবং ভালোবাসাকে সাথে করেই তিনি কাজ করে যেতে চান।
সুরাইয়াকে এদিন শুভেচ্ছা জানিয়ে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার চেয়ারম্যান পার্থ প্রতিম রায় বলেন, কোচবিহারের মেয়ে সুরাইয়া, তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হবে আগামী প্রজন্ম। কোচবিহারে থেকেও যে এ ধরনের কাজ করা যায়, তা যেমন মৌনি রায় দেখিয়েছেন, তেমনি দেখাচ্ছেন এই সুরাইয়া পারভীন। তিনি বলেন তার অভিনীত এই রাস ছবি নিয়ে উচ্ছাস রয়েছে কলকাতায় চলচ্চিত্র প্রেমীদের মধ্যে। স্বাভাবিকভাবেই সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছবে তার এই ছবি বলে মনে করেন পার্থ প্রতিম রায়।