স্থায়ী ব্রিজের দাবিতে ১৭নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভে শামিল হলেন স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে স্থায়ী বাসিন্দারা। ঘটনাটি তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের বারকোদালি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাশিয়াবাড়ী বাজার সংলগ্ন এলাকায়। বারকোদালি-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে মরার রায়ডাক নদী।এই এলাকার বাসিন্দাদের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা বাসের সাঁকো দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়ে নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হয় এলাকার বাসিন্দাদের।

এই এলাকায় প্রায় কয়েক হাজার পরিবারের বসবাস। বর্ষায় জল বেড়ে যাওয়ায় সাঁকো ভেসে যায় জলের তোরে। তখন প্রায় ১০কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হয় বাসিন্দাদের। এমনকি বর্ষায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে পড়ে। সে সময় পাশের রেলব্রিজ দিয়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে চলে যাতায়াত।এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা।
তাই স্থায়ী ব্রীজের দাবিতে মঙ্গলবার অসম – বাংলা সংযোগকারী ১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হলেন গ্রামবাসীরা। প্রায় দু’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে অবরোধ।দীর্ঘক্ষণ ধরে চলা অবরোধের ফলে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়ে পড়ে ১৭ জাতীয় সড়কে ওপর। অবরোধের ফলে কার্যত বন্ধ হয়ে পড়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বক্সিরহাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ এসে অবরোধ তুলতে গেলে দীর্ঘ আশ্বাসেও অবরোধ তুলতে নারাজ বিক্ষোভকারীরা। তাদের দাবি যতক্ষণ না পর্যন্ত দাবি পূরণ হচ্ছে অবরোধ তুলবেন না তারা।
তবে বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, স্কুল- কলেজ এমনকি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস, বিডিও অফিস, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরেও যাতায়াতের একমাত্র ভরসা এই সাঁকো।গ্রামের অসুস্থ কাউকে চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যেতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় স্থানীয়দের। যদিও পরবর্তীতে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তুফানগঞ্জ-২ বিডিও দালাকি লামা। বিডিওর পক্ষ থেকে তাদের আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নিলেও তাদের দাবি যতক্ষণ না পর্যন্ত স্থায়ী ব্রীজ না হচ্ছে আগামী দিনে আরও বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।