অঙ্গনওয়াড়ি ভবন থাকলেও ভবনে তালা।ফলে দুই কিলোমিটার হেঁটে দুরে পাশের গ্রামে যেতে হচ্ছে অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রে শিশু ও মায়েদের।সাত বছর আগে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের প্রায় ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দকৃত অর্থে নির্মাণ হয়ে ছিল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ভবন।কিন্তু দীর্ঘ সাত বছর অতিক্রান্ত হলেও চালু হয়নি ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র।তালা বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে ভবন।ঘটনাটি পুরাতন মালদা ব্লকের মহিষবাথানী গ্রামপঞ্চায়েতের বাঙ্গাবাড়ি বটতলা গ্রামের। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বিজেপি।দ্রুত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের এই ভবন চালু করার দাবিতে বিক্ষোভ প্রসূতি মা এবং স্থানীয়দের।

জানা গিয়েছে,প্রসূতি মা এবং শিশুদের দুই কিলোমিটার পায়ে হেঁটে অন্য গ্রামে যেতে হচ্ছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে।বর্ষার সময় তারা আরও সমস্যায় পরছে।দীর্ঘ সাত বছর আগে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জন্য একটি ভবন নির্মাণ করা হয়।কিন্তু অদ্ভুত ভাবে সাত বছর পেরিয়ে গেলেও ভবন চালু হচ্ছে না।২ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে অন্য গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যেতে বিপাকে পড়ছেন প্রসূতিরা।সমস্যা হচ্ছে শিশুদেরও।তাই এদিন ভবন দ্রুত চালু করার দাবিতে বাটি হাতে বিক্ষোভ করেন প্রসূতি মায়েরা।এদিকে সাত বছর আগে নির্মাণের পরেও সাত বছর তালা বন্ধ থাকায় ওই ভবনেরও বেহাল দশা। কিন্তু কেন চালু হচ্ছে না এই কেন্দ্র। কেন সরকারি অর্থ ব্যয় করে ভবন নির্মাণের পরেও তা মানুষের কাজে লাগবে না।এই নিয়ে সদুত্তর দিতে পারছে না কেউই।
কেন চালু হয়নি এই ভবন? ব্লক প্রশাসনের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে সিডিপিও চিত্রা দাস মুখার্জির দাবি এই ভবন এখনো তাদের কাছে হস্তান্তর হয়নি।এই রিপোর্ট ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক দিতে পারবেন।