মা ও ৭মাসের মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার ঘর থেকে, চাঞ্চল্য ময়নাগুড়ি শ্রীলঙ্কা এলাকায়।
ময়নাগুড়ি ব্লকের মাধবডাঙ্গা ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীলংকা এলাকায় ঘর থেকে উদ্ধার হল সাত মাসের শিশু জেবিকা রায়ের , সেই সঙ্গে পাশেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে মৃত শিশুর মা মৌমিতা রায়।
এলাকার বাসিন্দারা জানান মৌমিতার এবং মল্লিকের বিয়ে হয় বছর দুইয়েক আগে, মৌমিতার বাড়ি পাশেই জল্পেশ মেলার মাঠ সংলগ্ন আমতলায়।

ভালোবাসা করে বিয়ে বিয়ে করায় দুই পরিবারের পক্ষ থেকেই বিষয়টি মেনে নেয়নি। ফলে মলিন রায় তার কাকা বিমল রায়ের বাড়িতে একটি ঘরে মেয়ে স্ত্রী কে নিয়ে থাকতেন স্বামী মলিন। বলুন পেশায় একজন দিনমজুর। বাসিন্দারা জানান একই ঘরের এক পাশে থাকেন পরিবার নিয়ে কাকা বিমল রায, শনিবার রাতে যথারীতি খাওয়া-দাওয়া করে মৌমিতা বাচ্চাকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। বাড়িতে ছিলেন না স্বামী কাজের সুবাদে তাকে বাইরে থাকতে হয়। এদিন সকাল আনুমানিক ৫ টা নাগাদ আমি মলিন রায় বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করলে মৌমিতা দরজা না খুললে, পাশেই কাতার ঘরের বাসের বেড়া খুলতে চক্ষু চরক গাছ, তুমি দেখতে পার। মুই তো অবস্থায় পড়ে রয়েছে তার মেয়ে, জেবিকা গলায় ক্ষত এবং হাতে ক্ষত রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে দুজনেই। এই ঘটনা চেঁচামেচি করলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে ঘটনাস্থলে। পরবর্তীতে তড়িঘড়ি করে দুজনকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে জেবিকা কে মিতু বলে ঘোষণা করে। মৌমিতা চিকিৎসা চলছে, মৌমিতার অবস্থা গুরুতর বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়।
পাশের ঘরে থাকা কাকা বিমল বাবু বলেন এই বিষয়ে আমরা কোন টেরই পাইনি। কি করে ঘটনা ঘটলো তা আমরা নিজেরাই ভাবতে পারছি না।
অন্যদিকে এলাকার উপপ্রধান পবিত্র রায় বলেন বিষয়টি দুঃখজনক। কি কারনেই ঘটনা ঘটলো সেটা দেখার বিষয়। এ বিষয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ ঘটনা তদন্ত করেছে। সেই সঙ্গে ঘরটি সিল করে দিয়ে গেছে। তিনি বলেন আমরা চাই পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে এই ঘটনার কিনারা করুক। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়াই।