কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ায় থমকে উন্নয়ন। মিলছে না পানীয় জল বেহাল রাস্তা। সরকারি প্রকল্পে উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরা-ওরার বিভাজন।তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে অভিযোগ স্থানীয়দের।একই অভিযোগে সরব কংগ্রেসের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য।বারবার পঞ্চায়েত প্রধান ও ব্লক অফিসে জানিয়েও সুরহা হচ্ছে না বলে অভিযোগ।অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত।ঘটনায় শাসক দলকে নিশানা বিজেপির।পাল্টা উন্নয়নের ফিরিস্তি তৃণমূলের।ঘটনা কে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো মালদার চাঁচল ১ নং ব্লকের মহানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ পাকা এলাকায়।

উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানকে হাতিয়ার করে প্রতিটি মানুষের মন জয় করতে চাইছেন মা, মাটি মানুষের সরকার।কিন্তু তার দলের পঞ্চায়েত প্রধান উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরা ওরা বিভাজনের সীমা রেখা তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ।মালদার চাঁচল ১ নং ব্লকের মহানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ পাকা বুথের কংগ্রেস দলের পঞ্চায়েত সদস্য থাকার কারণে সেই এলাকায় উন্নয়ন কার্যত থমকে রয়েছে।দীর্ঘদিন ধরে বিকল হয়ে পড়েছে সাবমারসিবল পাম্প।লিখিত আকারে একাধিকবার গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনকে জানানো হলে এখনও পর্যন্ত তা মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।জলের জন্য এলাকায় হাহাকার গ্রামবাসীর।পানীয় জলের পাশাপাশি বেহাল হয়ে পড়েছে এলাকার রাস্তা সমস্যায় গ্রামের দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলি।এদিন জল ও রাস্তার দাবীতে বিক্ষোভে সরব হলেন দক্ষিণ পাকা এলাকার গ্রামের সাধারণ মানুষ।গ্রামবাসীদের অভিযোগ,কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া কি আমাদের অপরাধ।কংগ্রেস দলের জনপ্রতিনিধি হওয়ার কারণে সমগ্র উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত আমার এলাকার সাধারণ মানুষ।
যদি ওই বুথের কংগ্রেস দলের পঞ্চায়েত সদস্য মেরিনা খাতুনের অভিযোগ, সাবারসিবল পাম্পটি সারানোর জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত ব্লক দপ্তরে লিখিত আকারে আবেদন জানিয়েছেন।কিন্তু তারপরও এলাকায় কোন কাজ হচ্ছে না।আমি যেহেতু কংগ্রেস দল থেকে জয়ী হয়েছি সেই কারণে তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আমাকে কোন কাজ দিচ্ছে না।
অন্যদিকে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত রকম অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মহানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রূপসানা খাতুন তিনি বলেন,ওই পামটি পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সারানো সম্ভব নয়। টেন্ডার করে ওই পাম্পটিকে সরাতে হবে।সেটি আমরা দ্রুত ব্যবস্থা করছি।কাউকে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত রাখা হচ্ছে না,সবাই সমান কাজ দেওয়া হচ্ছে।
দক্ষিণ মালদা জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ী বলেন, এই সরকারের আমলে বিরোধীদের কোন কাজ করতে দিচ্ছে না। কোন অ্যালটমেন্ট দেন না। এমনকি আমাদের যে সমস্ত বিধায়কেরা রয়েছে তাদের টাকা ব্যবহারেও প্রশাসন গড়িমসি করছে। এক অদ্ভুত পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
আমরা ওরার অভিযোগ সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র আশীষ কুন্ডু বলেন, এইসব মিথ্যা অপপ্রচার করে তৃণমূল দলকে মেলাইন করার চেষ্টা হচ্ছে। এই সরকারের আমলে যথেষ্ট উন্নয়ন হচ্ছে।