জলঢাকা নদীর তরমুজ চাষ, রোগ পোকার আক্রমণে বিপাকে রঞ্জিত, আশাপূর্ণরা, ক্ষতিতে পাড়ি দিতে হবে ভিন রাজ্যে দিনমজুরের কাজে।
জলঢাকা নদীর বালু চর বরাবরই তরমুজ চাষের জন্য বিখ্যাত।বর্ষার প্রাক মুহুর্তে জলঢাকা নদীর মাঝে বালির চরে বিঘার পর বিঘা সুস্বাদু তরমুজ চাষ করে থাকেন ধূপগুড়ি ব্লকের বারোঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ খয়েরবাড়ি এলাকার কৃষকরা। এখানকার তরমুজ স্বাদে অতুলনীয় হলেও গত কয়েক মরসুম থেকে দাম না মেলায় তরমুজে উৎসাহ হারিয়েছেন অনেক কৃষকই।প্রতি বছর এখানকার তরমুজ পাড়ি দেয় প্রতিবেশী দেশ নেপাল, ভুটানে। এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ও আসাম, বিহার সহ বিভিন্ন ভিন রাজ্যে। আবহাওয়ার তারতম্যে প্রতিবছরের তুলনায় এবছর ফলন অনেকটাই কম। পাশাপাশি ইতিমধ্যে রোগ, পোকার আক্রমণে ক্ষতি হয়েছে গাছের সেজন্য ফলন অনেকটাই কম,যার ফলে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে কৃষকদের। গত বছর অনেক কৃষক তরমুজ চাষ করে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় এই এলাকার অনেকে এ বছর তরমুজ চাষ করেননি।

যে কয়েকজন কৃষক এবার তরমুজ চাষ করেছেন তারাও আগামীতে তরমুজ চাষ করবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে। কারণ যেভাবে দিনের পর দিন রাসায়নিক সার কীটনাশকের দাম বাড়ছে পাশাপাশি আগের মতন ফলন হচ্ছে না এর ফলে তরমুজ চাষ করলে তাদের যথেষ্ট খুশি ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তরমুজ চাষিরা। এমতাবস্থায় সরকারি বেসরকারি ভাবে ঋন নিয়ে তরমুজ চাষ করে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তরমুজ চাষীরা।ফলন ভালো না হলে চাহিদাও কমবে।তারা চাইছে বিশেষ দপ্তরের তরফে তাদের সুপরামর্শ দেওয়া হোক।শুধু তাই নয়,এবারের চাষে যদি ক্ষতি হয় বা আশানুরুপ দাম না মেলে তাহলে ভিন রাজ্যে কাজে চলে যেতে হবে।এমনটাই দাবি রঞ্জিত মন্ডলের।
বর্তমানে স্থানীয় বাজারে দাম রয়েছে।কিন্তু ভিন রাজ্যের মাল ঢুকলেই দাম পড়ে যাবে।আর এই অবস্থাতে রোগ পোকাতে ফলন সেভাবে নেই।আশাপূর্ণ মন্ডলের দাবি প্রচুর দামি দামি ঔষধ স্প্রে করতে হয়।কৃষি দফতর সেভাবে খোজ নেন না।
যদিও ধূপগুড়ি ব্লক কৃষি অধিকর্তা তিলক বর্মন বলেন, তরমুজ চাষীরা সেভাবে ফলনের বিষয়ে আসেন না,আসলেও তারা ঔষধ পত্র লিখিয়ে চল যান।তবে খোজ নিয়ে দেখা হবে,প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।