নিজস্ব সংবাদদাতা:রাজ্য সরকারের বাংলার বাড়ি প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েও বাড়ি তৈরির কাজ শুরু না করায় উপভোক্তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধমক বিডিও’র।একসপ্তাহের মধ্যে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করার ডেডলাইন বিডিও’র,নাহলে টাকা ফেরত নিয়ে অন্য কাউকে দিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারী বিডিও’র।

কেন্দ্র সরকার আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করে দেওয়ায়,কেন্দ্রের মুখাপেক্ষি না থেকে রাজ্য সরকার বাংলার গরীব মানুষের মাথার ছাদ করে দেওয়ার লক্ষে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মাস দুয়েক আগেই রাজ্যের বাংলার বাড়ি তালিকাভুক্ত উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে প্রকল্পের মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মধ্যে প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা করে দেওয়ায়ও হয়।সেই টাকা পেয়েও জেলায় জেলায় এখনও অনেক উপভোক্তা বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেনি আবার কেউ কাজ শুরু করলেও তা শুরুতেই বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে।নির্ধারিত সময়ে যাতে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয় এবং উপভোক্তারা বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করে এনিয়ে আসরে ব্লকের বিডিও’রা।বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের বসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গড় এলাকায় বাংলার বাড়ির টাকা পেয়েও কাজ শুরু না করা এমন উপভোক্তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে একসপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু করার ডেডলাইন বেঁধে দিলেন ব্লকের বিডিও উৎপল পাইক।বিডিও’র সাথে ছিলেন জয়েন্ট বিডিও বিকাশ কুমার বিজলী,পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অলোক ঘোষ।

শুধু ডেডলাইন বেঁধে দেওয়া নই,দুমাস পরও কেনো বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেননি তা জানতে চান বিডিও উৎপল পাইক।উপভোক্তাদের উদ্দেশ্যে বিডিও’র হুঁশিয়ারী একসপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু না হলে সেই টাকা ফিরিয়ে নিয়ে অন্য কোনো উপভোক্তাকে পাইয়ে দেওয়া হবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।এককথায় সরকারি প্রকল্পের বাড়ির টাকা পেয়েও কাজ শুরু না করায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে উপভোক্তাদের কড়া ধমক দিলেন বিডিও।এনিয়ে উপভোক্তাদের কেউ বাড়ি তৈরির কাজ শুরু না প্রসঙ্গে বিডিওকে জানালেন মাঠে আলু তোলার কাজের কথা আবার কেউ শোনালেন উপভোক্তার অসুস্থতার কথা।এবিষয়ে বিডিও উৎপল পাইক জানান,আমাদের চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকে বাড়ি তৈরি করার সাফল্যের হার অনেক বেশি,৯৭ বা ৯৮ শতাংশ উপভোক্তার কেউ বাড়ি তৈরি শুরু করে দিয়েছেন।বাকি যারা এখনও কাজ শুরু করেননি আমরা নিয়মিত তাদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি,দপ্তরের আধিকারিক কর্মীরাও নজরদারি চালাচ্ছে যাতে সরকারি টাকা পেয়ে উপভোক্তারা সঠিক সময়ে বাড়ি তৈরির কাজ সম্পন্ন করে।”বিডিও এও জানান,”চন্দ্রকোনা আলু চাষের গড়,এসময় মাঠ থেকে আলু তোলা নিয়ে ব্যস্ততা থাকে।তবুও আমরা ডেডলাইন দিয়েছি একসপ্তাহের মধ্যে যাতে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করা হয়।”ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানাযায়,চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকে ৩৭৮৯ জন উপভোক্তা বাংলা বাড়ি প্রকল্পে প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছেন।বাড়ি তৈরির জন্য সরকারি প্রকল্পের টাকা পেয়েও দুমাস পরও উপভোক্তাদের বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করার অনিহায় নড়েচড়ে বসেছে জেলা থেকে ব্লক প্রশাসন।