ধীমান রায়,জলপাইগুড়ি:প্রতি বছরই লক্ষ লক্ষ ভারতীয় বেনারসের গঙ্গার ঘাটে গঙ্গা আরতি দর্শন করতে করতে আসেন। এটি যেন একটি ভিন্ন জগতের অভিজ্ঞতা। গঙ্গা আরতি হল বারাণসীতে প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত একটি সুন্দর অনুষ্ঠান। জানা যায়, পবিত্র গঙ্গা নদীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই অনুষ্ঠানটি করা হয়। আর সন্ধ্যার আরতিই হল এখানকার প্রধান আকর্ষণ। মানুষের বিশ্বাস, বারাণসীতে গঙ্গা আরতিতে অংশ নেওয়া এবং গঙ্গা আরতির প্রদীপের ধোঁয়া নিঃশ্বাস নেওয়ার ফলে আত্মা পরিষ্কার হয় এবং মানুষ ভেতর থেকে পবিত্র বোধ করেন। উল্লেখ্য, সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে বারাণসীর ঘাটগুলি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে গঙ্গা আরতির সাথে। পুরোহিতদের আলোকিত পিতলের প্রদীপ নাড়িয়ে যেন এক অপরূপ আধ্যাত্বিক পরিবেশের সৃষ্টি করেন। কি ভাবছেন! এই চিত্র বারাণসীর? না, জলপাইগুড়িতেই করলা নদীর পাড়ে গত বছর অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই গঙ্গা আরতি। এবারও এই আয়োজন করা হচ্ছে জলপাইগুড়িতে। বারুণী মেলা উপলক্ষে জলপাইগুড়ির মোহিতনগর ডাঙ্গা পাড়া এলাকার করলা নদীর ঘাটে বেনারসের আদলে এবারও গঙ্গা আরতির প্রস্তুতি শুরু করেছেন উদ্যোক্তারা।

এলাকার মা শ্মশানকালী পুজো কমিটির পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। উদ্যোক্তারাই বছর দুয়েক আগে বেনারসে যান। সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই দ্বিতীয় বারের জন্য গঙ্গা আরতির প্রস্তুতি এবারও শুরু করেছেন তারা। অগণিত মানুষ গত বছর করলা নদীর পাড়ে এই গঙ্গা আরতি দেখার জন্য ভিড় জমিয়েছিলেন। এবারও তার অন্যথা হবে না বলেই দাবি উদ্যোক্তাদের। এ বিষয়ে মন্দির কমিটির সভাপতি রঞ্জিত রায় জানালেন, এবার আমাদের দ্বিতীয় বছরের পদার্পণ। আগামী ২৭ শে মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছটা থেকে আরতি শুরু হবে। টানা সাতটি সন্ধ্যা অর্থাৎ ২ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে সন্ধ্যা আরতি। এর আগে আমরা বেনারসের গঙ্গা ঘাটে সন্ধ্যা আরতি দর্শনে গিয়েছিলাম। সেখান থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা এই কর্মসূচির উদ্যোগ গ্রহণ করি। এবারও বাইরে থেকে ৭ জন পুরোহিত সন্ধ্যা আরতিতে অংশ নিতে আসছেন। জলপাইগুড়ি ছাড়াও দূরদূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ এখানে উপস্থিত হন। এবারও অনেকেই আসবেন বলে আশা করছি। বর্তমানে প্যান্ডেলের কাজ জোর কদমেই চলছে বলে তিনি জানান।