অরুনাংশু মৈত্র , (ফালাকাটা) আলিপুরদুয়ার: গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে ফালাকাটা শহরকে গত তিন বছর আগে পৌর এলাকায় রূপান্তরিত করেছিল রাজ্য সরকার । ২০২২ সালে ফালাকাটা পৌরসভার নির্বাচন হয়েছিল । ফালাকাটা পৌরবাসীর পৌর এলাকার পরিষেবা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ । পরিষেবা পাচ্ছেন না ফালাকাটার বাসিন্দারা । পুরসভা গত দুমাস ধরে ফালাকাটার পৌর এলাকা থেকে কোন নোংরা আবর্জনা তুলছে না । ফলে ফালাকাটা পুর এলাকার প্রায় সব ওয়ার্ডেই নোংরা আবর্জনায় স্তুপ জমছে । ছড়াচ্ছে মশা জনিত রোগ । ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে এতটাই নোংরা আবর্জনার স্তুপ রাস্তায় হাঁটা চলার অবস্থা পর্যন্ত নেই । পৌর এলাকায় এখনো কোন ডাম্পিং রাউন্ড তৈরি হয়নি । ফলে নোংরা আবর্জনা ফেলানো নিয়ম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পুরসভাকে । নোংরা সমস্যায় বিজয় ক্ষুব্ধ শহরের বাসিন্দারা । বিরোধীরা কিন্তু পৌর বোর্ডকে কাঠগোড়ায় দাঁড় করিয়েছে । ফালাকাটার বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মন বলেন ফালাকাটাকে পৌরসভায় উন্নীত করলেও উন্নয়নমূলক কাজে তেমন ভূমিকা পালন করছে না রাজ্য সরকার । শুধুমাত্র বাড়তি করের বোঝা চাপিয়েছে পুর বাসিদের ওপর। আর ছোট বড় তৃণমূল নেতাদের বাড়তি উপার্জন জায়গার হয়ে উঠেছে এই পৌরসভা ।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন নোংরায় হাঁটা চলার অনুপযুক্ত হয়ে উঠছে শহরের রাস্তাঘাট । সামনেই বর্ষা ড্রেন গুলো উপচে পড়ছে । মশার উপদ্রব বাড়ছে এলাকায় এলাকায় । বর্ষার আগে ড্রেনগুলো পরিষ্কার না করলে চরম সমস্যায় পড়বেন বাসিন্দারা । সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ফালাকাটা পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ মহুরি । তিনি বলেন আর্থিক অনটনের জন্য নোংরা আবর্জনা তোলা যাচ্ছে না । রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়নদপ্তরের কাছে অর্থ চাওয়া হয়েছে । টাকা এলেই সমস্যার সমাধান হবে ।

পুরসভার বাসিন্দাদের সমস্যার কথা মাথায় রেখেই রাজ্য সরকারের কাছে অর্থ চাওয়া হয়েছে। মার্চ মাসের মধ্যে অর্থ না এলে পুরসভা নিজস্ব ফান্ডের থেকে অর্থ নিয়ে কাজ করা যায় কিনা তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করতে হবে । অন্য খাতের টাকা এখানে খরচ করা যায় কিনা আইনের কোন সমস্যা রয়েছে কিনা সেসব নিয়েও আলোচনা করা হচ্ছে । পুর ও নগর উন্নয়ন দপ্তর থেকে আর্থিক সাহায্য না আসায় এই চরম বিপাকে পড়েছেন ফালাকাটা পুরসভা। নতুন পুরসভা প্রথম থেকেই আর্থিক অনটনে ভুগছে । উন্নয়নমূলক কাজ করতে না পারায় এর আগে দু দুবার পুরসভার চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন প্রদীপ মহুরি । বর্ষার আগে চরম বিপাকে ফালাকাটা পুরো বোর্ড , কবে টাকা আসবে সেই ভরসায় দিন গুণতে হচ্ছে পুরসভা কে ।
