নিজস্ব সংবাদদাতা: গভীর রাতে অভিযোগ পেয়ে কীর্তনে মাইক ব্যবহার না করে, কীর্তন চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিল পুলিশ। আর তানি পুলিশের সাথে তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন কীর্তন কমিটির বেশ কয়েকজন। কিছুটা হলে উত্তেজিত হয়ে পড়েন পুলিশকর্মীরাও। অবশ্য এক্ষেত্রে কীর্তন চালিয়ে যাবার ক্ষেত্রে কোন ব্যাঘাত ঘটেনি। শুধুমাত্র কীর্তন প্রাঙ্গণে পুলিশ আসাকে কেন্দ্র করে মনঃক্ষুণ্ণ হতে দেখা যায় এই কীর্তন কমিটির কয়েকজন মহিলা সদস্যাকে। শুক্রবার গভীর রাতে কোচবিহার শহরের ঐতিহ্যবাহী পুরাতন পোস্ট অফিস পাড়ার কীর্তনকে কেন্দ্র করে।
এই ঘটনার পরই ময়দানে নেমে পড়তে দেখা গেল বিজেপি-তৃণমূলের উভয় পক্ষকেই। রাজনীতিতে ধর্মীয় মেরুকরণের এক অদ্ভুত খেলায় নেমে পড়তে দেখা গেল এই দুই দলের নেতাদের।
এই ঘটনার পরেই সামাজিক মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তীর্যক আক্রমণ করে কীর্তন বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ এনে পোস্ট করতে দেখা যায় কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে-কে। আর এরপরই বিধায়ককে কটাক্ষ করে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক।

কীর্তন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগে এদিন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দেকে।

অপরদিকে শনিবার এই কীর্তন প্রাঙ্গনে ছুটে যান তৃণমূল কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। কীর্তন কমিটির কর্মকর্তাদের সাথে দীর্ঘক্ষণ কথাও বলেন তিনি।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্ত ছড়ানো ও সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে এদিন অভিযোগ করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ।