কল আছে জল নেই। বাড়িতে বাড়িতে জলের লাইন পৌছালেও, পরে না জল,কিছু অংশের বাড়িতে এখনো অবদি পৌছায় নি জলের লাইনও। যদিও জল আসে সেটার স্থায়িত্ব প্রায় ১০ মিনিট। সমস্যা সমাধানে তারপরেও স্থানীয় প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করছে না বলে অভিযোগ। কোচবিহারের ছাট গুড়িয়াহাটি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ১৬২,১৬৩,১৬৪,১৬৫ নম্বর বুথের প্রায় শতাধিক পরিবার এখন জল কিনে কোনও রকমে দিন কাটাচ্ছেন। একইসাথে এলাকায় রয়েছে ড্রেনের সমস্যাও। পরিষেবায় রাজনীতি। কটাক্ষ বিজেপির।
উল্লেখ্য ওই এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা কেবল এই একদিনের নয়। এলাকায় প্রতিটা বাড়িতে জলের লাইন চালু রয়েছে। কিন্তু ওই নলগুলিতে দীর্ঘদিন ধরে ১০ মিনিটের বেশি জল থাকে না। যেটুকু সময় জল পড়ে তাও অনেক কম পরিমাণে। পানীয় জলের সংস্থানটুকুও ঠিকমতো হয় না বলে এলাকাবাসীর দাবি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাঁরা বেশ কয়েকবার জেলা শাসকের দপ্তরে অভিযোগও জানিয়েছেন। পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি।এমতাবস্থায় তারা আজ একটি পথ অবরোধের ডাক দিলেও পরবর্তীতে প্রধানের আশ্বাসে পথ অবরোধ না করলেও অতি শীঘ্রই যদি তাদের এই সমস্যা গুলির সমাধান না হয় তাহলে পরবর্তীতে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিবেন বলে এদিন জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।

পানীয় জলের সংকটই একমাত্র সমস্যা নয়। ভাঙাচোরা রাস্তা ও ড্রেনের দুর্গন্ধ জুড়েছে ওই সমস্যার তালিকায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, তাঁদের এলাকায় বছর দশেক ড্রেন পরিষ্কার হয়নি। দুর্গন্ধ, আর মশার কামড়ে চরম দুর্ভোগে কাটান এলাকাবাসী। ১৫-২০ বছর আগে পঞ্চায়েত সমিতি একটি পাকা হাইড্রেন নির্মাণ করে। কিন্তু তারপর থেকে আর ওই ড্রেনের সংস্কার হয়নি। সামান্য বৃষ্টিতেই ড্রেনের জল রাস্তায় উঠে আসছে। এমনকি ঘরের মধ্যেও ওই নোংরা জল ঢুকে যাচ্ছে। বহুবার ওই ড্রেন পরিষ্কার করার কথা বলেও কোনও কাজ হয়নি।’

স্থানীয় প্রধান বিশ্বজিৎ মল্লিকের বক্তব্য, ‘ছাট গুড়িয়াহাটিতে রিজার্ভার তৈরি করা হয়েছে। সেটির ট্রায়াল রানের সময় পাইপের কয়েকটি জায়গায় লিকেজ দেখা দিয়েছে। পিএইচই সেগুলি মেরামত করছে। আশা করছি, অতি শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান হবে।’একইসাথে ড্রেনের সমস্যাও যাতে খুব শীঘ্রই ঠিক করা যায়, সেদিকেি তদের সজাগ দৃষ্টি থাকবে তাদের বলে এদিন তিনি জানান।

উক্ত এই ঘটনা শাসক দলের চরম ব্যর্থতার পরিচয় বলে এদিন কটাক্ষ করেন বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বোস