মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের গড়ে ঘরের টাকা ভাগাভাগি এবং পঞ্চায়েতের অনাস্থা ডাকা নিয়ে বৈঠকের মধ্যেই তৃণমূলেরই দুই গোষ্ঠীর গন্ডগোল।হাতাহাতি রক্তাক্ত। রক্ত ঝড়ল দুই তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর।ঘটনা মালদহের কালিয়াচক ২ ব্লকের অন্তর্গত মোথাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের।গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই তৃণমূল সদস্যের স্বামী ফেকু মোমিন এবং নাসির আহমেদকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।বর্তমানে তাঁরা মালদা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান সবিতা সাহা চৌধুরীর স্বামী গোপাল চৌধুরি বোর্ড মিটিং ডেকেছিল পঞ্চায়েত দপ্তরে।

সেখানে ঘরের টাকা এবং অনাস্থা প্রসঙ্গ ঘিরে মেজাজ হারান তৃণমূল পরিচালিত রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সামসুন নেহারের স্বামী নাসির আহমেদ সাগর বলে অভিযোগ।অভিযোগ,দলীয় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী নাসির আহমেদকে মারতে যায়। সেখান থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে একটি আম বাগানে আশ্রয় নেয় তাঁরা।অভিযোগ, সেখানে পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী দলবল নিয়ে তাদেরকে মারধর করে। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌছায় পুলিশ। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
যদিও এই সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শামসুন নেহার।তার পাল্টা অভিযোগ,তার স্বামীকেই চেয়ার এবং লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয়েছে। বর্তমানে তার স্বামীও চিকিৎসাধীন। তিনি আরো অভিযোগ করেন, পঞ্চায়েত দপ্তরে গন্ডগোলের সময় এই দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যার স্বামী পালিয়ে আম বাগানে আশ্রয় নিয়েছিল তখন গ্রামবাসীরা চোর ভেবে তাদের মারধর করেছে।
দক্ষিণ মালদা জেলা বিজেপির সভাপতি অজয় গাঙ্গুলী বলেন, মোথাবাড়ি এলাকায় তৃণমূলের বড় বড় রথী মহারথীরা দল চালাচ্ছেন। মন্ত্রীর গড়েই তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ। যত ভোট আসছে তত গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে আসছে। আর প্রশাসন চুপ করে বসে আছে। তারা যদি সক্রিয় না হয় তাহলে আগামী দিনে আরও ভয়ংকর হবে।
জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি শুভময় বসু বলেন, এটা সম্পূর্ণ গ্রাম্য বিবাদ। এখানে কি কাকে সাপোর্ট করেছে এটা দলীয় স্তরে তদন্ত হচ্ছে।পাশাপাশি ব্লক সভাপতিকে তদন্তের কথা বলা হয়েছে। এটা ভুল বোঝাবুঝির কারণে হয়েছে।