পাহাড়ে আবার ধস। বৃহস্পতিবার রাতে ধস নামে পশ্চিমবঙ্গ সিকিম লাইফ লাইন দশ নম্বর জাতীয় সড়কে। ধসে রাস্তার বিস্তীর্ণ অংশ ভেঙে খাদে তলিয়ে যায়। এর ফলে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই
বন্ধ হয়ে যায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক।
২৯মাইলের কাছে এই ধস নামে।
২৯ মাইল থেকে গেলখোলা পথে এই ধস নেমেছে। আজ সকালে ধস সরানোর কাজ শুরু হয়। কিন্তু সড়কের বিস্তীর্ণ অংশ পুরোপুরি ধসে যাওয়ায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে দ্বিমুখী যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। অন্য রুট হয়ে ঘোড়পথে যাতায়াত চলছে সিকিম এবং বাংলার মধ্যে। এর ফলে চার ঘন্টা সময় বেশি লাগছে সিকিম পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে। গতকাল
রাত আটটা নাগাদ এই ধস নামে।

জাতীয় সড়কে বিশাল বড় গর্ত তৈরি হয়। ধ্বসে যায় জাতীয় সড়কের বিস্তীর্ণ অংশ। পুলিশ প্রশাসনের তরফে ধস কবলিত ঐ পথে ব্যারিকেড লাগিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে দেওয়া হয়। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে
পাহাড় কেটে পথ অন্তত ৬ ফুট প্রশস্ত করতে হবে।আজ বিকেলের আগে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে দ্বিমুখী যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ময়দানে। সিকিমে এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রচুর গাড়ি অপেক্ষারত কখন এই সড়ক খুলবে সেই ঘোষণার।
অতি দ্রুত এবং জরুরি ভিত্তিতে যাদের যাতায়াত প্রয়োজন তারা ঘুর পথে সিকিম থেকে পশ্চিমবঙ্গ এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে সিকিম গরুবাথান রোড ব্যবহার করে যাতায়াত করছেন। বর্তমানে ২৯ মাইল এর ক্ষতিগ্রস্ত ওই সড়কে কেবলমাত্র ছোট হালকা যানবাহন জরুরি ভিত্তিতে যাতায়াত করতে দিচ্ছে কালিম্পং জেলা প্রশাসন। কোনরকম ভারী যানবাহন আপাতত এই পথে চলবে না বলেই জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে।