তোর্সা নদীর ভাঙ্গনে দিশেহারা কোচবিহার বলরামপুর শোলাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দারা। ভাঙ্গনে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। বাড়িঘর ভেঙ্গে অজানার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন অনেকে। জানা গিয়েছে তুফানগঞ্জ এক ব্লকের বলরামপুর এক গ্রাম পঞ্চায়েতের শোলাডাঙ্গা এলাকায় তোরসা নদীর ভাঙ্গুনে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের দাবি গত কয়েক বছরে ভাঙ্গনের জেরে তিন তিনটি গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হাজার হাজার বিঘা জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বহু মানুষ নিঃস্ব হয়ে জায়গা জমি হারিয়ে কোনমতে দিনমজুরি করেই বেঁচে রয়েছেন। অনেকে বাঁচার তাগিদে পাড়ি দিয়েছেন ভিন রাজ্যে।

গত কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় শোলাডাঙ্গা এলাকায়। নদীতে জল বাড়ার ফলে ভাঙ্গনের তীব্রতা বাড়তে থাকে। পাশাপাশি তৈরি হয় আতঙ্ক। গত দুদিনেই হাজার হাজার বিঘা জমি নদী গর্ভে গিলে নিয়েছে রাক্ষুসে তোরসা। রক্ত জল করা তিলে তিলে ঘর সম্পত্তি চোখের সামনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কষ্ট করে তৈরি করা ঘর ভেঙ্গে যাচ্ছে নদীগর্ভে। অনেকেই বাড়িঘর ভেঙ্গে রাস্তায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছেন। গৃহ হীন হয়ে পড়েছেন অনেকেই। আবার জল কমার ফলে রীতিমতো ভাঙতে শুরু করেছে ওই এলাকা। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মহাকুমা শাসক, সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সহ সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা। ওই এলাকার অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব থেকে শুরু করে অন্যান্যরা। ঘটনায় স্কুলে ছুটে আসেন প্রাক্তন বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, এনবিএসটিসির চেয়ারম্যান পার্থ প্রতিম রায়, জেলা পরিষদের সদস্য শৈলেন বর্মা , পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি রাজেশতন্ত্রী সহ অন্যান্যরা। তাদের সহযোগিতায় চলছে অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা। পাশাপাশি বলরামপুর এক গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে তাদের চাল ডাল শুকনো খাবার বিলি করা হচ্ছে। স্থানীয়দের একটাই দাবি বাধ চাই। না হলে তিন তিনটি গ্রাম হয়তো চলে গিয়েছে আবার গোটা বলরামপুর এলাকা নদী গর্ভে চলে যাবে এমনটাই আশঙ্কাবোধ করছেন বাসিন্দারা।