গরুমারার গন্ডারের দেহ ভেসে উঠলো বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম এলাকায়। ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দুই বাংলাতেই। জানা গেছে, যেই এলাকায় গন্ডারের দেহটি উদ্ধার হয়েছে, সেই স্থান থেকে গোরুমারার রামসাইয়ের দূরত্ব প্রায় ১৭০ কিলোমিটারেরও বেশি। জলের স্রোতে এতদূর ভেসে আসা গন্ডারের ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বনপ্রেমী মহলে।

বুধবার কুড়িগ্রামে গন্ডারের দেহ ভেসে ওঠার পর স্বাভাবিকভাবেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে পশুপ্রেমীদের মধ্যে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, গত রবিবারের বন্যায় আরও বহু বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যে বেতগাড়া রেলসেতুর কাছে পাঁচটি বাইসনের দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে বন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। দেহগুলো নদীর ধারে পলির নিচে চাপা ছিল বলে অনুমান। পরিবেশপ্রেমীরা জানিয়েছেন, রবিবার যে তীব্র বন্যা ও প্রবল স্রোত বয়ে গিয়েছিল, তাতে বহু প্রাণী ভেসে গিয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, গোরুমারা জাতীয় উদ্যানের বন্যা বিধ্বস্ত এলাকায় একাধিক গন্ডার, বাইসন, হরিণ ও হাতির বসবাস ছিল। জলঢাকা নদীর জলে ভেসে একটি গন্ডার বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম পর্যন্ত চলে যাওয়া ঘটনাকে হালকাভাবে নিচ্ছে না বন দপ্তর। বন দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ ইতিমধ্যেই গন্ডারের দেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। স্থানীয় বনকর্মীরা ময়নাতদন্ত করবেন, তবে দেহটি ভারত ফেরত আনা হবে না। এদিকে, আরও বন্যপ্রাণী এই বন্যায় ভেসে গিয়েছে কিনা, তা জানতে সীমান্তবর্তী নদী তীর জুড়ে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।