ডুয়ার্সের নাগরাকাটায় বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে আক্রান্ত উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু এবং শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ কে দেখতে এলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। বুধবার সকালে শিলিগুড়ির মাটিগারার যে বেসরকারি নার্সিংহোমে সাংসদ খগেন মুর্মু এবং শঙ্কর ঘোষ রয়েছেন সেখানে পৌঁছান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বেশ কিছুক্ষণ নার্সিংহোমে ভর্তি থাকা সাংসদ খগেন মুর্মু এবং শিলিগুড়ি বিজেপি বিধায়ক শঙ্করঘোষের সাথে কথা বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। এরপর চিকিৎসকদের কাছ থেকে তাদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন তিনি। আক্রান্ত বিজেপি সাংসদ এবং বিধায়ককে দেখে বেরিয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, রাজ্যে আইনের শাসন নেই।

তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা মুখ্যমন্ত্রীর ইশারায় এই সমস্ত হামলার ঘটনা ঘটাচ্ছে। এখনো দুষ্কৃতিরা গ্রেফতার হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী এটাকেও ছোট ঘটনা বলে চালিয়ে দিচ্ছেন। নির্দিষ্ট আট জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেই নি বলেই অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। অপরদিকে বিজেপির কর্মীদেরকে সুকান্ত মজুমদার নির্দেশ দেন অভিযুক্তদের ছবি পোস্টার করে সেটে দিতে হবে দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ি জেলায় জনতা বিজেপিকে খবর দিলে বিজেপি নেতারা বুঝে নেবে তাদের কি করতে হবে। অর্থাৎ মারকে বদলা মারের পথেই বিজেপি। এদিকে আক্রান্ত সংসদ এবং বিধায়ক কে দেখে জলপাইগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। জলপাইগুড়ি সদরের মন্ডল ঘাট এলাকা,জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি, রামসাই আমগুড়ি এলাকার ত্রাণ শিবির এবং ধুপগুড়ির খুরসামারি এলাকায় ত্রান সামগ্রী বিতরণ করতে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এরপর বুধবার বিকেলে জলপাইগুড়ি বিজেপি কার্যালয়ে বিজেপির কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করবেন সুকান্ত মজুমদার। খোঁজখবর নেবেন নাগরাকাটায় ঠিকই ঘটনা ঘটেছিল এবং এই ঘটনায় যারা যুক্ত তাদের সম্পর্কে। বুধবার রাতেই জলপাইগুড়ি থেকে ট্রেনে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।